স্কুলের পাঠ্যসূচিতে এবার ঠাঁই পাচ্ছে রেলের বায়ো-টয়লেট
নিউজ ডেস্ক: ম্যানেজমেন্ট স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ঠাঁই পাচ্ছে ভারতীয় রেলে ব্যবহৃত বায়ো-টয়লেট। ট্রেনের কোচে কীভাবে বায়ো টয়লেট ব্যবহার করা হয় তার উপর একটি কেস স্টাডি করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেস বা আইএসবিকে ট্রেনের বায়ো-টয়লেট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে তা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় রেল।
রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আইএসবিকে কেস স্টাডি করতে দিয়েছে এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও জানিয়েছে তারা মনে করলে এই বায়ো-টয়লেটের উপর কেস স্টাডি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের ছবি এবং লোগো দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই স্টাডিতে দেখানো হচ্ছে ২০১১ সালে প্রথম বায়ো-টয়লেট ব্যবহার করা হয়েছিল প্রোটোটাইপ ট্রেনে। যা গোয়ালিয়র থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। এরপর কিভাবে বায়ো-টয়লেটের দ্রুত বিস্তার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। ১০ বছরে ভারতীয় রেলের ৬৮৬৯৪ টি কোচে দু লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৭৫টি বায়ো-টয়লেট বসিয়েছে।
টাটা এনার্জি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এক সমীক্ষায় দেখেছে, বায়ো টয়লেট ব্যবহারের ফলে রেলের ট্রাক পরিষ্কারের খরচ অনেকটাই কমেছে। আগে যারা রেলওয়ে ট্রাক পরিষ্কার করতেন এখন তারা অন্য কাজ করছেন। ফলে তাদের মর্যাদাও বেড়েছে। এর ফলে আগের তুলনায় প্রতিদিন ৫.৪ মিলিয়ন লিটার জল খরচ কমেছে। বায়ো টয়লেট ব্যবস্থা অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব। ভারতীয় রেল বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে। রেল চায়, আগামী দিনে আরও বেশি করে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক স্টেশনে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে বেশ কিছু ট্রেন সৌর শক্তির সাহায্যে চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেলমন্ত্রক।