গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার আসায় ৮৬ হাজার টাকা খুইয়ে প্রতারণার ফাঁদে হুমায়ুন!

পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর অভিযোগ, আইপ্যাক সংস্থার কথা বলে তাঁকে প্রতারণার করেছেন এক যুবক। শাসকদলের বিধায়কের এই অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন শনিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁকে এক জন নিয়মিত ভাবে হোয়াট্‌সঅ্যাপ কল করেন। বিধায়কের বয়ান অনুযায়ী, তাঁকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ দফতর পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওই যুবক। এ ছাড়াও লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতেও সাহায্য করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত। তিনিও ‘ভুলে’ ৮৬ হাজার টাকা দিয়ে ফেলেছেন অভিযুক্তকে। কিন্তু তার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন।

আরো পড়ুন-ফের রাখলেন প্রতিশ্রুতি!আজ বজবজে ট্রাঙ্ক রোডে পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন অভিষেক!

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে নিয়োগ করেছিল তৃণমূল। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজেকে সেই বেসরকারি সংস্থার কর্মী বলে ভরতপুরের বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন অভিযুক্ত। হোয়াট্‌সঅ্যাপ কলের মাধ্যমে জাল বিছিয়েছিলেন অভিযুক্ত। হুমায়ুনের কাছে প্রথমে অল্প টাকাই চাওয়া হয়। সেই টাকা দেওয়ার পর দফায় দফায় চাহিদা বাড়তে থাকে। এর পর যেই ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়, তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে বিধায়কের মনে। তিনি এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আরো পড়ুন-বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের বস্তিতে আগুন!পুড়ে ছাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড

উল্লেখ্য,অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বারাসত পুলিশ জেলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে অভিযুক্তের ফোন নম্বর ‘ট্র্যাক’ করে জানা যায়, তিনি আদতে আসানসোলের নিয়ামতপুরের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে অবস্থান উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত পুলিশ জেলার মধ্যমগ্রামে। তার পর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম অঞ্জন সরকার। ধৃতকে ১৫ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে তোলা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন শনিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁকে এক জন নিয়মিত ভাবে হোয়াট্‌সঅ্যাপ কল করেন।তাঁকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ দফতর পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওই যুবক। এ ছাড়াও লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতেও সাহায্য করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত। তিনিও ‘ভুলে’ ৮৬ হাজার টাকা দিয়ে ফেলেছেন অভিযুক্তকে। কিন্তু তার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *