মৃত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের

জলপাইগুড়ি, ৭ জুলাইঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মৃত তৃনমূল কর্মীর বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়কের কুরুচিকর মন্তব্যেকে ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে।

এই হেন আচরণের প্রতিবাদে বুধবার ময়নাগুড়ি থানায় বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়ের বিরুদ্ধে  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ময়নাগুড়ি ১ নং ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই সঙ্গে বিধায়কের গ্রেপ্তারের দাবীও করেছে তৃনমূলের এই ছাত্র সংগঠন।

গত ৪ জুলাই ময়নাগুড়ি ১ নং ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট অধিকারী মারা যান। আর তার পরেই মঙ্গলবার বিজেপির বিধায়ক কৌশিক রায়ের সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া একটি পোষ্টকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের মধ্যে।

বিধায়কের সেই ওই বিতর্কিত পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আরে কয়দিন আগোতে কনু যে উবায় বেশি বেশি ইতিরাইসে, উবার যাবার সময় হয় গেইসে। আজ সাকালে শুনিনু ভেল্টি গেইসে। হর হর মহাদেব।’

মৃত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীর সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়ের করা এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে ময়নাগুড়ি ১ নং ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন তৃনমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী সমর্থকেরা ময়না গুড়িতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়ের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

ময়নাগুড়ি ১ নং ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, বিজেপির বিধায়ক সরাসরি মৃত সম্রাট অধিকারীকে নির্দেশ করেই এই ধরণের মন্তব্য করেছেন। একজন বিধায়ক মৃত ব্যক্তির নামে এই ধরণের মন্তব্য করতে পারেন এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না।

ময়নাগুড়ি ১ নং ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কনভেনার দ্বিপায়ন বর্মন বলেন, “আমাদের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট অধিকারী গত রবিবার মারা যান। এরফলে আমরা খুবই শোকাহত। তারপর ময়নাগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক তার নাম করে যেভাবে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ফেসবুকে, সেটা অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক। তারই প্রতিবাদে আমরা প্রতিবাদ মিছিল করে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ জমা করলাম। “

এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিধায়ক কৌশিক রায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ” আমি নির্দিষ্ট কারো নাম ধরে এই পোষ্ট করিনি। আমার বাপ ঠাকুরদা, পূর্বপুরুষ যে শিক্ষা দিয়েছেন সেটাই আমি উল্লেখ করেছি। থানায় অভিযোগ জমা করেছেন সেটা তাদের ব্যাপার। এর মানে আমাদের পূর্বপুরুষদের ভাষাকে অপমান করা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *