এশিয়ার সেরা দশে জায়গা করে নিলেন সেরাম কর্তা
নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার সেরা ১০ ব্যক্তির তালিকায় ছয় নম্বরে জায়গা পেয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা। সিঙ্গাপুরের একটি সংবাদমাধ্যমে এশিয়ার সেরা ১০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছেন আদর। করোনাজনিত সংক্রমণ ঠেকাতে যারা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন আদর পুনাওয়ালা। মনে করা হচ্ছে সে কারণেই তিনি এশিয়ার প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন।
এই তালিকার প্রথমেই আছেন চিনের গবেষক ঝ্যাং ইয়ংঝেন। ঝ্যাং ও তাঁর প্রতিনিধি দল সার্স-কভ-২ ভাইরাসের জিনের গঠনবিন্যাস সামনে এনেছিলেন। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চিনের মেজর জেনারেল চেন ওয়েই। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে জাপানের চিকিৎসক রুইচি মরিশিতা এবং সিঙ্গাপুরের গবেষক ওই ইয়ং। করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে এই দু’জনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাঁচ নম্বরে আছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী জুং জিন। করোনার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র গোটা বিশ্বে পৌঁছে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন জিন। এশিয়ার প্রথম দশের মধ্যে ছয় নম্বরে আছেন আদর।
শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদা রয়েছে। করোনা মহামারী প্রতিরোধ করতে এই সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। অক্সফোর্ডের সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কাজ করছে তারা। প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষার ফল ইতিবাচক। সে কারণেই আদরের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬-এ আদরের বাবা সাইরাস পুনাওয়ালা সেরাম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০১-এ প্রতিষ্ঠানের সিইও পদে যোগ দেন আদর। একাধিক সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করে থাকে সেরাম। টিকার ডোজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সেরাম বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা। ২০০৯-এ সোয়াইন ফ্লুর ভ্যাকসিন তৈরি করে গোটা বিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠে এই সংস্থা। তাছাড়া যক্ষা রোগ-সহ একাধিক রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করে সেরাম।
আদর ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের তৈরি করোনার টিকা শুধু ভারতেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন গরিব ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতেও বিতরণ করা হবে। প্রতি বছর ১০০ কোটিরও বেশি কোভিশিল্ড তৈরির জন্য প্রস্তুত সংস্থা। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের চার কোটি ডোজ তাঁরা তৈরি করেছেন বলে আদর জানিয়েছেন।