‘বাংলার বুয়া-ভাতিজাকে ক্ষমতাচ্যুত করেই ছাড়ব’ ডাক শুভেন্দুর

নিউজ ডেস্ক: বরাবরই দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী। দলবদলের পরও সেই একই মেজাজে তিনি। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর সুযোগ পেলেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে অধিকারীর গড় হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রামে রোড-শো করেছিলেন শুভেন্দু। নিজের খাসতালুকে পা রেখে তৃণমূলকে একের পর এক তোপ দাগলেন। তারপরই সেখান থেকে টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনের প্রতিবাদে রোড-শো করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এদিন রোড-শো শেষে খড়দহ থানার আগে জনসভা থেকে সুর চড়ালেন বিজেপি সাংসদ, নেতারা। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন মুকুল পুত্র তথা বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ, সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। খড়দহ’র জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের শুভেন্দুর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার। শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘মণীশ শুক্লর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘অর্জুনের নামে ১০০টি মামলা করেছে। অর্জুনের অনেক আত্মীয়ের নামেও মামলা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে, মাথা নত করাতে পারেনি। নন্দীগ্রামে সিপিএমের চটি পরা হার্মাদ দেখেছিলাম। তৃণমূলের হার্মাদরা বিজেপির ওপর লাঠিচার্জ করেছে। অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।’ তৃণমূল ক্ষমতা আসায় পরে অত্যাচারীদের ভাল পোস্টিং দেওয়া হয়, এমনও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, বিজেপির এই মিছিল, সভায় বাড়ি থেকে সবাই রাস্তায় নেমে এসেছেন। এর থেকে প্রমাণিত বিজেপির সোনার বাংলার স্বপ্নকে সমর্থন করেছে মানুষ।

এছাড়াও ডায়মন্ডহারবারে নাড্ডার কনভয়ের উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘নাড্ডার গাড়িতে পাথর মেরেছে। তিন আইপিএসের বিরুদ্ধে কেন্দ্র পদক্ষেপ করেছে। যে কাজ করছেন, তার পরিণতি খুব খারাপ।’ আমি যখন যা করি নিষ্ঠার সঙ্গে করি, দাবি শুভেন্দুর। আমি কি তোলাবাজ? এও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মাননীয় ভাইপোকে সুপ্রিম কোর্টের হলফনামাটা পড়ার কথাও শোনা গেল। ওরা প্রধানমন্ত্রীকে তুই তোকারি করে, নাড্ডাকে গাড্ডা বলে। পাশাপাশি বাংলায় কাটমানি, সিন্ডিকেট, বুয়া-ভাতিজাকে উপড়ে ফেলার ডাক দেন শুভেন্দু।

এখানেই থামেননি শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, ‘ভাইপো বলছে, লজ্জা করে না বাড়িতে পদ্ম ফোটাতো পারনি। আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে।’ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকে পদ্ম ফোটাব, এদিনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুংকার দিলেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘গোটা বাংলাটা একেবারে রসাতলে নিয়ে গেছে তৃণমূল। মানুষ পরিবর্তনের আরেকটা পরিবর্তন চাইছে।’ রাজ্যে চাকরি চাই, কেন্দ্রের কৃষক সম্মান বাংলা পায় না কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর। তৃণমূলের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যমের দুয়ারে সরকার। পাড়ায় পাড়ায় সমাধান, ভাঁওতাবাজির নতুন নাম।’

পাশাপাশি এদিন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘আমরা মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে বঙ্গোপসাগর নয়, আরব সাগরে ফেলে দেব। যাতে ফিরতে না পারে। কাছাকাছি থাকলে ওখান থেকেও সিন্ডিকেট চালাবে। যেমন অনেক দাগী অপরাধী জেলের মধ্যে বসেও তোলাবাজি চালায়, হুমকি দেয়।’ তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন বাবুল সুপ্রিয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *