কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর বেসুরো রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক
নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরদিনই বেসুরো গাইলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। আর ঠিক তার পরদিনই বিজেপি পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের দখল নিল তৃনমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েতের ৯ জন বিজেপির নির্বাচিত সদস্য বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃনমূল কংগ্রেসে। অনাস্থা আনলেন বিজেপি পরিচালিত বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- “৯ঘন্টা যদি ইডি জেরা করে তখন লোকে অনেকেই আবল তাবোল বকে”অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের
পঞ্চায়েতের পালাবদলের সাথে ওই অঞ্চলের কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগাদন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিজেপির জেলা কার্যকর্তা নিমাই কবিরাজ দাবি করেছেন, বিজেপি সদস্যদের ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে তৃনমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। এদিন বিজেপি থেকে আসা পঞ্চায়েত সদস্যদের ও স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কারিগর হতেই দলে দলে বিজেপি নেতা কর্মিরা তৃনমূলে আসছেন।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের দখল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েতের মোট ২৪ টি আসনের মধ্যে ১৬ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং ৮ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পরিচালিত বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন বাসো চরে এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন রফিকুল আলম।
আরও পড়ুন- বিজেপি কার্যালয়ে ফুটফরমাশ খাটে, চপ-সিঙাড়া এনে দেয় সুবোধকে প্রার্থী করা হোক, বিস্ফোরক তথাগত
দুবছর যেতে না যেতেই বিজেপির প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপিরই নির্বাচিত সদস্যরা। এদিন বিজেপির নির্বাচিত ৯ জন সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং বিজেপি পরিচালিত বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। দলত্যাগী বিজেপি সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছেন৷ গ্রামে কোনও উন্নয়নমূলক কাজই হচ্ছিলনা।
বিজেপি থেকেও তাঁরা কোনও সন্মান পাচ্ছিলেন না। তাই মানুষের হয়ে কাজ করতে এবং গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। ফলে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতও বিজেপির হাতছাড়া হয়ে তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে চলে এল। যদিও বিজেপির জেলা সহ সভাপতি নিমাই কবিরাজ শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
আরও পড়ুন- খালি গা, হলুদ ধুতি, নেট দুনিয়া কাঁপাচ্ছে ‘ওহ লাভলী’
এদিন বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের ৯ জন বিজেপি সদস্য ছাড়াও ওই অঞ্চলের রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সদ্যসও তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এর পাশাপাশি বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক এদিন তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কারিগর হতেই দলে দলে বিজেপি নেতা কর্মিরা তৃনমূলে আসছেন।