‘কেন্দ্রের অনুদানের টাকায় লক্ষী ভান্ডার চালাচ্ছে’:চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণা মঞ্চে এসে মন্ত্রী জন বার্লা

নিয়োগের দাবিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ চাকরি প্রার্থীরা সল্টলেকে সিটি সেন্টারের অদুরে ধর্ণা। আজ তাদের ধর্নার দশম দিন। রাস্তার ফুটপাতে বসে থালা বাজিয়ে ধর্নায় দেখাচ্ছে তারা। তাদের ধর্ণা মঞ্চে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। চাকরি প্রার্থীদের সাথে কথা বলেন তিনি। চাকরি প্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সাথে দেখা করাবেন বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রের বিভিন্ন খাতে অনুদানের টাকায় রাজ্যে লক্ষী ভান্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্প চলছে।

আরো পড়ুন-“ভুল হতেই পারে,কিন্তু ভুলের সংশোধন দল করবে”:অভিষেক বন্দোপাধ্যায়

বিক্ষোভকারীদের দাবি,২০১৪ সালের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দেয় তারা। ২০১৬ সালে একটি রিটেন রেজাল্ট বেরোয়। পরবর্তীতে বেশ কিছু নিয়োগ করা হলেও বাকি প্রায় ২০০ জনকে এখনো নিয়োগ করা হয়নি। কেন তাদেরকে নিয়োগ করা হয়নি তা জানতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিক বার দেখা করার চেষ্টা করলেও দেখা করেননি চেয়ারম্যান। তাই তারা একাধিকবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনো রকম সদুত্তর মেলেনি। তাই তারা বাধ্য হয়ে আবারও হাইকোর্টের নির্দেশে সল্টলেক সিটি সেন্টারের অদূরে রাস্তার ফুটপাতে ধর্নায় বসেছে মাদ্রাসা কমিশন পাশ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগ সহ ১২ দফা দাবি নিয়ে তাদের এই আন্দোলন।

আরো পড়ুন-পানিহাটির গরিব মোমবাতি বিক্রেতার অজান্তেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার লেনদেন!

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্য তো কোনো কথা শুনছে না। আমার মনে হচ্ছে না দিদির সরকার এটার সমাধান করবে। ওরা তো দুর্নীতির মধ্যে ফেঁসে আছে। কেন বারবার ইডি লাগছে, সিবিআই লাগছে। কেন লাগবে না। এরা কেন চাকরি পাবে না। এরা তো চাকরিপ্রার্থী তাহলে কেন পাবে না। এই বিষয়টা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সাথে কথা বলবো। সাড়া ভারতে সব থেকে বেশি অনুদান এই রাজ্য পায়। আমার তো মনে হয় কেন্দ্রের অনুদানের টাকায় লক্ষী ভান্ডার চালাচ্ছে। সিবিআই ইডি কেন লাগছে। দুর্নীতি করেছো তাই লাগছে। সংখ্যালঘু উন্নয়নের টাকা লক্ষী ভাণ্ডারে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *