রাজধানী এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার কোটি টাকা মূল্যের সোনার বাট,গ্রেপ্তার ১ পাচারকারী
কোটি টাকা মূল্যের সোনার বাট উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর। সোমবার এই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে সোনা সহ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা। এই সোনা মায়ানমার থেকে চোরাপথে এনে ট্রেনে পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীর। ধৃত পাচারকারীকে মঙ্গলবার তোলা হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে।
আরো পড়ুন-যুদ্ধের জের, দাম বাড়তে চলেছে বিয়ারের
জানা গিয়েছে, গোপনসুত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরা। অভিযান চালিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের কামরা থেকে মহারাষ্ট্রর সাংলি জেলার বাসিন্দা দিলীপ মানে নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালায় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা। তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ১ কেজি ৯৯২ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার বাট। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখে ধূলো দিতে ট্রলি ব্যাগের হ্যান্ডেলে ওই চারটি সোনার বাঁট লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারী।
আরো পড়ুন-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ
কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমান সোনা চোরাপথে মায়ানমারের মোরেহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। সেই সোনার একটি অংশ হাতবদলে অসমের গুয়াহাটিতে পৌঁছয়। গুয়াহাটি থেকে দিলীপ মানে রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাজধানী এক্সপ্রেস সোমবার দুপুরে এনজেপি স্টেশনে প্রবেশ করতেই গোপনসূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় ডিআরআই। প্রথমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আধিকারিকরা। এরপর তল্লাশি চালালে উদ্ধার হয় ওই সোনার বাঁটগুলি। ধৃতকে এদিন শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী ত্রিদীপ সাহা বলেন, “মূলত ওই কানপুরে পাচারের ছক ছিল। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রলি ব্যাগের হ্যান্ডেলে বিশেষ চেম্বার বানিয়ে ওই সোনার বাঁটগুলি লুকিয়ে রাখা ছিল।”