সাতকালেই চেতলায় ডোর টু ডোর প্রচারে ফিরহাদ হাকিম, দেখুন ভিডিও

নিউজ ডেস্ক: মমতা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আর তার ২৪ ঘন্টাও পার হয়নি। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম “ডোর টু ডোর” প্রচারে নেমে পড়লেন। শনিবার সাতসকালেই চেতলার ৮২ ও ৭৪ নং ওয়ার্ডে মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ৩০শে সেপ্টেম্বর ভোট দিতে বলেন। চেতলা ফিরহাদ হাকিমের নিজের এলাকা বলে খ্যাত।

এদিন এক বিরল দৃশ্য দেখা যায়। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেই গলা মিলিয়ে বাড়ির মেয়ে মহিলারা বলে উঠলেন, ৩০ তারিখ “খেলা হবে”।
ভবানীপুর ঘরের মেয়েকেই চায় এই স্লোগান শোনা যাচ্ছে অনেক জায়গায়। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ঘরের দুর্গা যিনি সারা বাংলা জুড়ে বিজেপি নামের অশুভ শক্তিকে বধ করেছেন। বাংলাকে সুরক্ষিত রেখেছেন। সেই দুর্গাকেই ভবানীপুরের মানুষ জিতিয়ে আনবেন”।

আরও পড়ুন- “দেবশ্রী চৌধুরী রায়গঞ্জে বিজেপিকে হারানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন”:বিষ্ফোরক বিজেপি বিধায়ক

মানুষের দরজায় গিয়ে মা-বোনেদের জোড় হাত করে বলেছেন, আপনাদের ঘরের মেয়েকেই ভোটটা দেবেন।চকিতে মা-বোনেরা উত্তর দিয়েছেন, এই অঞ্চলের সব ভোটই ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আামাদের দিদির। শুনে হাসি মুখে ফিরহাদ হাকিম পা বাড়িয়েছেন অন্য দরজায়। সব জায়গাতেই উত্তর এক, ” ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে সব ভোট জোড়া ফুলে”।

আরও পড়ুন- ‘মমতা হলেন সন্ত্রাসের মুখ, আর প্রিয়ঙ্কা প্রতিবাদের মুখ’ দাবি দিলীপ ঘোষের

প্রচারে লিফলেটও বিলি করা হয়। রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থসাথী সহ একাধিক জনমুখী প্রকল্পগুলির উল্লেখ রয়েছে। এতারকা প্রচারক নিয়ে প্রশ্ন করলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ভবানীপুর মীরজাফরদের মাটি নয়। এই মাটিতে মীরজাফরদের ঠাঁই নেই। আর কে এখানে উল্টোদিকে থাকলো তাতে কিছু যায় আসে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১৩ টা জায়গায় জিতে আছেন। সব বিধায়কই তো তাঁর নামেই জিতেছে৷ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই রাজ্য চালানোর ভার দিয়েছেন। ফলে বাংলা দিদির সঙ্গেই আছে। আর ভবানীপুরও ঘরের মেয়ের সঙ্গেই থাকবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *