“প্রতিবাদ করতে এসে শিক্ষকরা বিষ খেয়েছেন,এর চেয়ে দুরাবস্থা আর কি হবে”:তোপ দিলীপের

নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামের বাড়িতে গতকাল রাতে পুলিশ গিয়েছিল তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য বলেন,”বলার কিছু নেই। এই সরকার যেধরনের স্বেচ্ছাচারী মনভাব নিয়ে কাজ করছে কারো কথা শুনতে রাজি নন। কর্মচারীরা বঞ্চিত সবদিক দিয়ে নিজেরা তারা বিক্ষোভ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। একই আন্দোলন বিশ্ব ভারতীতে হলে এই সরকার সাপোর্ট করছে।শিক্ষক ,কর্মচারী আর পুলিশের লোকেরা যদি আন্দোলন করে নিজের অধিকারের জন্য তখন তাদের ট্রান্সফার করা হচ্ছে ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে তুলে আনা হচ্ছে। মিডিয়ার লোকেরা যদি সরকারের সমালোচনা করে রাত এক টার সময় তাকে তুলে আনা হচ্ছে ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে কেউ সমালোচনা না করে। যা ইচ্ছা করতে পারেন। সরকার মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনের উপর কোনো কন্ট্রোল নেই। পুলিশ প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা না করে পার্টির সেবা করতে গিয়ে পুরো সমাজের চোর ডাকাত গুন্ডা বদমাশ টেররিস্টদের দাদাগিরি চলছে। আর তার প্রতিবাদ করলে আমাদের ডান্ডা চলছে।শিক্ষকদের যেভাবে ট্রান্সফার করা হয়েছে তারা কষ্টের মধ্যে আছে| তারা প্রতিবাদ করতে এসে বিষ খেয়েছেন এর চেয়ে দুরাবস্থা আর কি হবে। এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরকে টাইট দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

দেবদত্তা মাঝির হোমগার্ডকে চড় মারা কাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন,”ও তো স্বাভাবিক আছে। আমাদেরকে সুযোগ পেলে একটা কেস দিয়ে দেয়। হাসপাতালে আমাদের লোককে ঢুকতেই দিচ্ছে না আমরা ডেড বডি আনতে যাচ্ছি এর চেয়ে বড় অপরাধ কি হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে এর জন্য সুয়ো মোটো কেস হওয়া উচিত। দেবদত্তা মাঝি যদি কিছু করে থাকে সে কেন করেছে এটা বিচার করা উচিত। যারা একজন মৃত কর্মীকে চার মাস পর ডেড বডি আনতে গিয়েছে তাদের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করছে, তুই তুকারী করে কথা বলছে| তিনি চৌরঙ্গী কেন্দ্রে আমাদের ক্যান্ডিডেট ছিলেন। তিনি প্রতিবাদ করে থাকেন ঠিক করেছেন।”

মুখ্যমন্ত্রী নমিনেশন ফাইল করা নিয়ে বিজেপি কোর্টে যাবে বলেছিল ,সেই নিয়ে তিনি বলেন,”আইনি পথে তো সাধারণ মানুষই গেছেন। ওখানকার লোকই প্রশ্ন করেছেন কেন এধরণের নির্বাচন হচ্ছে। স্বাভাবিক পার্টির তো আর কেস লড়ার কথা নয়। কেউ না করলে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হয়। মানুষই করেছেন আমাদের লড়াই পুরোপুরি হবে আমরা তো এখনো নামিনি।মমতা ব্যানার্জি তো পুরো মন্ত্রী সভাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন। বুঝতেই পারছেন বিজেপির ভয় কতটা। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *