দশভূজা মমতার কোলে গণেশ! দুর্গার জায়গায় মমতার মুখেই গণেশ চতুর্থী পালন!

গত ১০ সেপ্টেম্বর ছিল গণেশ চতুর্থী। দিকে দিকে গণেশ বন্দনায় মেতেছিলেন সকলে আর তার মধ্যে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে গণেশের অভিনব মূর্তি করে চমকে দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছিল। কিন্তু মালদা হরিশচন্দ্র পুর এলাকার জাগরণ সংঘ ক্লাব যে চমক দিলো, তা রীতিমতো বিস্ময়কর! এই মণ্ডপে দেখা যাচ্ছে যে গণেশ দুর্গার কোলে বসে রয়েছে আর দুর্গা মন্দিরের মূর্তিটি আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে তৈরি। মূর্তি ও মন্ডপ শয্যায় অভিনবত্ব সকলের দৃষ্টি কেড়েছে।


তবে এই অভিনবত্ব নিয়ে প্রশংসা হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবী দুর্গার তুলনা করায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দশটি হাত দেখা যাচ্ছে এই এই মূর্তিতে। তবে মূর্তির দশ হাতে কিন্তু কোনো অস্ত্র নেই।

 

দুই হাত দিয়ে গণেশ কে ধরে রেখেছেন তিনি আর বাকি আট হাতে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানান রকম প্রকল্পের নাম। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, যুবশ্রী, লক্ষীর ভান্ডার, সমব্যাথী প্রকল্পের নাম দেখা যাচ্ছে মমতা রূপী দেবী দুর্গার হাতে। এখানেই শেষ নয় মূর্তিতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পড়ানো হয়েছে।

 


ক্লাব কর্তৃপক্ষ যদিও এই ধরনের গণেশ চতুর্থী পালন করায় কোনো রকম খারাপ কিছু অনুভব করছেন না।ক্লাব কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী বিগত 10 বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের দশভূজা দুর্গার মত রক্ষা করেছেন আমাদের রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক জনকল্যাণকর প্রকল্পের পাশাপাশি দরিদ্র মানুষ কেউ তিনি সহায়তা করেছেন।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপী দুর্গার মূর্তি দেখে রীতিমতো কটাক্ষ শুরু করেছেন গেরুয়া শিবির। এই মূর্তি উদ্বোধন করেছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও জাগরণ ক্লাব এর সম্পাদক বুলবুল খান বলেছেন, “ আমাদের এই ক্লাব তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবী দুর্গার মত আমাদের পশ্চিমবঙ্গবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। জনকল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র সব ধরনের মানুষের স্বার্থে কাজ করেছেন। তাই আমরা ওঁকে সম্মান জানাতে দেবী দুর্গার রূপ দিয়েছি এতে অন্যায়ের কিছু নেই।”

বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া এই প্রসঙ্গে বলেছেন,“দেবী দুর্গার সাথে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। এটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রী ও সমর্থন করবেন না। বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ‌। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তারা এর জবাব দেবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *