‘এইধরনের অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বে’:গ্রুপ সি মামলা নিয়ে পার্থকে কটাক্ষ দিলীপের

নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ…..অর্জুন সিং এর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন….
ঠিক আছে অপেক্ষা করুন।রাজনীতি যারা করে তারা এইধরনের মন্তব্য করে। সময়ে সবকিছু হবে। এতবেশি চিন্তা করার লাভ নেই। বস্ত্র মন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। নিশ্চিত তার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।নাম না করে দিলীপ ঘোষকে সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, ওনাদের রাজনীতির মূলধন সাম্প্রদায়িক। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন….সে তো আমরা সাম্প্রদায়িক আছি। এই সাম্প্রদায়িকতা সারা দেশ গঠন করেছে। কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী পর্যন্ত। ওনাদের কেন গ্রহণ করছে না। সবাই জানে আমরা সাম্প্রদায়িক। ওনারা আমাদেরকে তকমা দিয়েছেন। এই তকমা সর্তেও আমাদের স্বীকার করে নিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমাদের দুহাজার এমএলএ আছে। ওনাদের কেন গ্রহণ করছেন না। ত্রিপুরা,গোয়া,উত্তরপ্রদেশ, আসাম সব জায়গায় কোটি কোটি টাকা খরচা করেও একটা পঞ্চায়েত ও জিততে পারলেন না। সেইজন্য ওইধরনের সার্টিফিকেট দেওয়ার দরকার নেই। আপনি আপনাদের কাজে করুন আমরা আমাদের কাজ করছি। লোক যাকে গ্রহণ করেছে তাকে মানতে হবে। গায়ের জোরে লোক দিয়ে গুন্ডা দিয়ে পুলিশ দিয়ে বাংলায় রাজনীতি করেছেন। চারিদিকে হাহাকার চলছে সেই দিকে খেয়াল করুন। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ভাবতে হবে না দিলীপ ঘোষ মানুষের সঙ্গে আছে।

আরো পড়ুন-আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ঘর প্রদান করবে এসজেডিএ,জানালেন সৌরভ চক্রবর্তী

অনীক দত্তের অপরাজিত স্ক্রিনিঙ করতে দেওয়া হলো না নন্দনে। এই নিয়ে তিনি বলেন….
আমি জানি না কি রাজনীতি চলছে ওখানে। তাদের পার্টির লোকেদের ছবি প্রকাশ করতে দেন না। এমপি দেবের সঙ্গেও এইধরনের ঘটনা ঘটেছে। রিলিজ করতে দেওয়া হয়নি ওখানে আলাদা হিসাব হয়। এইভাবে শিল্প সাহিত্য কাব্য কলুষিত করা হয়। নেতাজির নামাঙ্কিত মহাজাতি সদনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়ে গেলো। তিনিও মনীষীদের পর্যায়ে চলে গেল। সাহিত্য একাডেমির পুরস্কারও হয়ে গেলে। পরবর্তী নোবেল পুরস্কার এর জন্য নামও পাঠানো হবে। কাদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। আগের লোকেদের ছোট করা হচ্ছে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বড় করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন-তিন কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বরানগর থানার পুলিশ

গ্রুপ সি মামলায় দোষী সাব্যস্ত এসপি সিনহা,পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই। এই নিয়ে তিনি বলেন….দেখুন যখনই সিবিআই ডাকে ইডি ডাকে কোর্টে চলে যান হসপিটালে ভর্তি হয়ে যান। কেন জান সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে।যত গুলো কমিটি তৈরি হয়েছে সত্যি সত্যি এই সমস্ত কমিটির রিপোর্ট আসলে তাহলে এইধরনের অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। মানুষকে লুট করা হয়েছে। ৬০০ জনার চাকরি হয়েছে অনেকেই পরীক্ষায় বসেননি, ফেল করেছে। দশ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কয়েকশো কোটি টাকা এদের কাছ থেকে কালেকশন করা হয়েছে। এত বড় দুর্নীতি। প্রত্যেকটি পরীক্ষাতে দুর্নীতি হয়েছে এই সরকার আসার পরে। এই রকম ঘটনা আরো প্রকাশ্যে আসবে।