করোনা আবহে ২০২১ এর দুর্গাপুজো কীভাবে হবে, চিন্তাভাবনা করছে দুর্গা পুজো কমিটি
হাতেগোনা আর কয়েকদিন বাকি আছে দুর্গাপুজোর। কিন্তু এখনও অবধি শহরে জুড়ে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়নি। গতবছর করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে একাধিক বিধি-নিষেধ জারি হয়েছিল। এই বছর এখনও অবধি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও, সামনে আসতে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। করোনার এই তৃতীয় ঢেউ আটকাতে গত বছরের মতোই দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হবে বলে ভাবনা চিন্তা করছেন দুর্গাপুজোর কমিটিগুলো।
কলকাতার অনেকগুলি দুর্গাপুজোর কমিটি দুর্গাপুজোর পাঁচদিনের মহোৎসবের একটি তালিকা দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুর্গা পুজো করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও চেতলা অগ্রণী পুজোর অন্যতম প্রধান সংগঠক ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “মহামারীর এই সময়টি আমাদের জন্য দুর্গা পুজোর আয়োজন করার সময় নয়। আমরা মূর্তি নির্মাণকারীদের ছোট আকারের মূর্তি তৈরি করতে বলেছি।”
একডালিয়া পুজো দক্ষিণ কলকাতা অন্যতম জনপ্রিয় একটি পুজো যেখানকার আলোকসজ্জার জন্য প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় করেন। একডালিয়া এভারগ্রিন কমিটির সাথে যুক্ত আছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, তাদের ক্লাব আকর্ষণীয় আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে বেশি বিনিয়োগ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুর্গা পুজোটি এইবার ছোট আকারের প্যান্ডেল করেই হবে।
কলকাতার অন্যতম পুরস্কারপ্রাপ্ত পুজো হলো ভবানীপুর ৭৫ পলির পুজো, এখানেও দুর্গাপুজো কে নামমাত্র আয়োজন করে তুলে ধরার কথায় ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে। এই দুর্গা পুজো কমিটির সেক্রেটারি সুবীর দাস বাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, “মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমাদের প্রচুর মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এখন কোন শোভাযাত্রা করার সময় নয়, ভালো দিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তাই আমাদের এখন অনেক বেশি পরিমাণে মানবিক হয়ে উঠতে হবে। মা দুর্গা ও চান আমরা মানুষের সেবা করি। তাই বিগত কয়েক মাস ধরেই ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করে চলেছি”
কলকাতার অন্যতম একটি জনপ্রিয় পুজো কমিটি ত্রিধারা সম্মেলনীর পুজো কমিটি প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক দেবাশীষ কুমার বলেন, “সমস্ত রকম অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে দেবী দুর্গার পুজোর আয়োজন করা হবে, তবে সেই আয়োজন হবে ছোট করে, কোন বৃহৎ উদযাপন এই বছর হবে না।”মহামারীর মধ্যে গত বছর দুর্গা পুজো যেভাবে একাধিক বিধিনিষেধের মধ্যে উদযাপিত হয়েছিল মনে করা হচ্ছে এই বছরেও দুর্গাপুজো কমিটিগুলি সেই পথেই হাঁটতে চলেছে।