বাংলা একদিন সব রাজ্যকে পথ দেখাবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক: বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও কোভিড যোদ্ধাদের সমান সুযোগ-সুবিধা মিলবে রাজ্যে। যাঁরা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করছেন তাঁদের ইনসেনটিভ দেওয়া হবে।

এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ৯ লক্ষ কোভিড টেস্ট হয়েছে। বাংলায় ১৫ কোটি বাড়িতে সার্ভে করেছেন আশা কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত ৭৭টি কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে ১০ হাজারেরও বেশি বেড রয়েছে। প্রায় ৪ হাজার চিকিৎসক ও ৯ হাজার নার্স কাজ যুদ্ধ করছেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করছেন এমন করোনা যোদ্ধাদের ভরতির জন্য প্রতি বছর ১০ শতাংশ করে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। তাঁদের কোভিড ওয়ারিয়র সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। পরীক্ষার পর ১ জুলাই থেকে কাজ করতে পারবেন। ইনটার্ন হিসাবে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের ৩ বছরের বন্ড থাকে। করোনা যোদ্ধা হিসাবে তাঁরা যতদিন কাজ করবেন, তাঁদের সেই সময়সীমা বন্ড থেকে বাদ দেওয়া হবে। হাউসস্টাফদেরও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে। চতুর্থ বর্ষের আন্ডার গ্র্যাজুয়েটদেরও কোভিড ট্রেনি হিসাবে ব্যবহার করা হবে। তবে যাতে পড়াশোনাতে সমস্যা না হয় তাই রোটেশন ভিত্তিতে তাঁরা কাজ করতে পারবেন। নন ক্লিনিক্যাল ডাক্তারদেরও পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো হবে। সিনিয়র রেসিডেন্টদেরও কাজে লাগানো হবে।’’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৬ জুন পর্যন্ত অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮৬টি। যেখানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। অর্থাৎ রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার ৫০.৬১ শতাংশ। অন্যদিকে আমফানের ক্ষতিপূরণ বা রেশন নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি থানায় জানাতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিপূরণের জন্য কোনও ফর্ম ফিল-আপ করার প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। তাই কাউকে ধরতে হবে না। প্রয়োজনে পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে বাংলাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন,এমন একটা দিন আসবে যেদিন বাংলা সকলকে পথ দেখাবে। আর সেই দিন বেশি দূরে নেই। তাই তিনি কেন্দ্রের ডাক না পাওয়াতে যে একটুও বিচলিত নন সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *