অবৈধ নার্সিং হোম চালাচ্ছে কোয়াক ডাক্তার, তদন্তে গিয়ে নিগ্রীত বি এম ও এইচ

অবৈধভাবে নার্সিং হোম চালানোর অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্তে করতে গিয়ে এক কোয়াক ডাক্তারের হাতে শারিরীক নিগৃহীত বি এম ও এইচ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার ডিটোল হাট এলাকার ঘটনা।

আরো পড়ুন-রমজান মাসে আগুন ছোঁয়া ফলের দাম,পকেটে টান মালদা শহরবাসীর

বংশীহারী থানা এলাকার ডিটল হাটে চলছে ল্যাব। পাশাপাশি, টিনের চালা ঘরে চলছে নার্সিংহোম। অভিযোগ, এলাকার কোয়াক ডাক্তার বিজন দে চালাচ্ছেন নার্সিংহোম। যার কোন বৈধ কাগজপত্র নেই সেখানে একাধিক রোগীর চিকিৎসা চলছে। অভিযোগ পেয়ে এদিন ওই ল্যাবে তদন্তে আসেন বংশীহারী বিএমওএইচ। বংশীহারী বিএমওএইচ পুলকেশ সাহা ঘটনাস্থলে গেলে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় পুলিশের সামনেই।

আরো পড়ুন-আবার বাধ্যতামূলক হল মাস্ক, বাড়ছে করোনা

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কোয়াক ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষাসহ রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা করতে পারা যায়। অপরদিকে কোয়াক চিকিৎসক বিজন দে নিজেকে কোয়াক ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিলেও রোগী ভর্তির কথা অস্বীকার করেন। যদিও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় রোগী ভর্তির যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এদিন ওই নার্সিংহোমে ভর্তি এক রোগিনী স্যালাইন হাতে নিয়ে জানান পেট ব্যথার কারণে তিনি এখানে ভর্তি রয়েছেন এবং চিকিৎসক বিজন দিয়ে তার চিকিৎসা করছে।

আরো পড়ুন-‘বাংলার উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আট স্তম্ভের উপর’ বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে সামিটে আলোচনা মমতার

গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সুপার তথা বংশীহারী ব্লক মেডিকেল অফিসার পুলকের সাহা বংশীহারী থানার পুলিশ সহ ওই নার্সিংহোমের তদন্তে গেলে তাকে বিজন দে এবং তার পরিবারের লোকেরা শারীরিকভাবে হেনেস্তা করে।বিজন দের পরিবারের সবাই বি এম ও এইচ কে ধাক্কাধাক্কি করেন ও সরকারি আধিকারিকের হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় কাগজপত্র।

আরো পড়ুন-চরম পাশবিকতা! সদ্যজাত শিশুকন্যাকে জঙ্গলের মধ্যে কাপড়ে পেঁচিয়ে ফেলে দিল বাবা-মা

বৈধ কাগজ না থাকা , চিকিৎসার লাইসেন্স বা কেমিস্ট্রির লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও কি করে তিনি প্রকাশ্যে এরকমভাবে একটি নার্সিংহোম পালি ক্লিনিক চালাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি অভিযুক্ত বিজন দে ওষুধের দোকান ও রয়েছে লাইসেন্স ছাড়া। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন কোয়াক ডাক্তার হিসেবে তিনি এসব গুলো করতে পারেন এটা তার অধিকার। যদিও তিনি রোগী ভর্তির কথা অস্বীকার করেছেন।বিএমওএইচ পুলকেশ সাহা জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে গেলে তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে হয়।

আরো পড়ুন-মাছের শুটকি তৈরি হচ্ছে মালদার সাট্টার গ্রামে,মাছের শুটকি বানিয়ে লাভের মুখ দেখছে গোটা গ্রাম

পুলিশের সামনেই গিয়ে ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি তদন্ত করে তিনি জানতে পারেন, সেখানে ল্যাবরেটরির কোন লাইসেন্স নেই। তিনি আরো জানান খবর পেয়ে ভর্তি রোগীদের কে সেখান থেকে সরানো হয়েছে কিন্তু রোগী ভর্তির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।এই বিষয়ে তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কে রিপোর্ট পাঠাবেন।পাশাপাশি তাকে শারীরিক নিগ্রহের জন্য বংশীহারী থানার ওই চিকিৎসকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *