অভিনব পদ্ধতিতে একাধিক মহিলাদের প্রতারণার ছক!গোয়া থেকে গ্রেফতার মূল পান্ডা

অভিনব পদ্ধতিতে একাধিক মহিলাদের প্রতারণার ছক। মূল পান্ডাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করলো নিউটাউন থানার পুলিশ।আইটি কর্মী হিসাবে কাজ করতো। সেই সুবিধাতে আইটি মহিলা কর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের সাথে সহবাস ও তাদের ডকুমেন্টস নিয়ে ইএমআইতে তাদের নামে বিভিন্ন জিনিস কেনা ও লোন নেওয়ার অভিযোগ ওই সব তরুণীদের অজান্তে।আজ তাকে বারাসাত কোর্টে তোলা হবে।

আরো পড়ুন-কেমন আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করল উডল্যান্ড হাসপাতাল

পুলিশ সূত্রে খবর……… গত ২০/০৪/২৩ তারিখে নিউটাউন থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন যে কর্মক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয় এর পর সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হয়। তখন সেই মহিলাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে তার নামে ইএমআই তে তার অজান্তে বিভিন্ন জিনিস কেনে।শুধু তাই নয় ওই তরুণীর নামে লোন ও নেওয়া হত।এই ভাবেই তার সাথে প্রতারণা হয়েছে।

আরো পড়ুন-এবার তৃণমূলে যোগ দিল সিপিআইএমের জয় প্রার্থী! সিপিআইএম শূন্যে হলো গ্রাম

এই অভিযোগ পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে হুগলীর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তার খোঁজ শুরু হতেই জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরেই পুলিশ খোঁজখবর শুরু করতে জানতে পারে গোয়াতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত মিলন। সেই খবরের সূত্র ধরে নিউটাউন থানার পুলিশ গোয়াতে হানা দেয়। সেখান থেকে অভিযুক্ত মিলন নাদকার কে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ অভিযুক্তকে বারাসাত আদালতে তোলা হবে।

আরো পড়ুন-‘যোগী আদিত্যনাথের থেকে কিছু বুলডোজার ভাড়া করুন’:কেন এমন বললেন বিচারপতির?

নিউটাউন থানার পুলিশ অভিযুক্ত মিলন নাদকার কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, এই মিলন সোশ্যাল মাধ্যম সাহায্যে ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন মহিলা ও তরুণীদের সাথে বন্ধুত্ব করে। এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সঙ্গে সহবাস করে। তাদের বিশ্বাস অর্জন করে। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে সেই মহিলা ও তরুণীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্যান কার্ড আধার কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে নেয়। সেই নথি দিয়ে বিভিন্ন শপিং মল থেকে ইএমআই এর মাধ্যমে দামি জিনিসপত্র কিনত সেইসব তরুণী ও মহিলাদের অজান্তে।এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন ও নেওয়া হতো।এরপরই যখনই সেই সমস্ত মহিলা বা তরুণীদের একাউন্ট থেকে টাকা কাটতে থাকে তখনই তারা জানতে পারে যে তারা কোনভাবে প্রতারিত হয়েছে। এই ভাবেই অভিযুক্ত মিলন এক নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার ছক কসেছিল। পুলিশে জিজ্ঞাসা বাদে এখনো পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার হিসেব পাওয়া গেছে এই অভিযুক্তের তার কাছ থেকে এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *