যে যোদ্ধারা পথে নামেন না

সকাল সন্ধ্যে দুপুর রাত্রি টিভি খুললেই তাদের দেখা মেলে মুখে পাউডার মেখে গলায় তারা সমস্ত বিষয়েই বিশেষজ্ঞের মতামত দিয়ে থাকেন তাদের চিৎকার শুনলে মনে হয় না ওটা কোন বিতর্ক সভা মনে হয় ভোটের ময়দানে যুদ্ধে নেমেছেন তারা।
‌ করণা থেকে রাজনীতি সব বিষয়ে তারা মহাপণ্ডিত। কিন্তু টিভির পর্দার বাইরেও তাদের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
করণা যোদ্ধাদের মত এরা আমাদের টিভি-যোদ্ধা।প্রথম দল করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারিতে থাকেন, আক্রান্ত হন, প্রাণ বিসর্জনও দেন।

আর দ্বিতীয় দল বেছে নিয়েছেন নিরাপদ টিভি স্টুডিওকে। যেখানে করোনা ঢোকে না ।
করোনা অতিমারীর সময় এরা কেউ রাস্তায় নামেন না। পাশে দাঁড়ান না কোনও আক্রান্ত রোগীর পরিবারের!
পাটু্লির এমনই এক পরিবারের প্রধান সুবীর বসু জানালেন , আমি এখন আর টিভিতে করোনা বিতর্ক শুনি না ।‌ওখানে যেটা হয়, সেটা নেহাতই পার্টির প্রচার । পার্টির ছোট-বড়,মেজ-সেজ নেতারা রোজ সন্ধ্যা সকালে মুখ দেখানোর একটা মাধ্যম খুঁজে পেয়েছেন!

এঁদের একজনকে আমি বলেছিলাম “আপনারা তো টিভির কল্যাণে পরিচিত মুখ। দিন না আমার ছেলেটাকে বাঙুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করে।”

ফোনে আমার আরজি শুনে প্রায় একরকম ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলেন আমার বাড়ির বাঁশের বেড়ার সাত হাত দূর দিয়ে। তাঁর মন্তব্য,“ওরে বাবা! আপনার ছেলের করোনা হয়েছে! আমি তো কাউকে চিনি না। অন্য কাউকে বলুন….বলেই লাইন কেটে দিলেন।
এই টিভি যোদ্ধারা মুখেই জগত মারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *