পশ্চিমবঙ্গে বিমানবন্দর স্থাপন নিয়ে বাংলার ঘাড়েই দায় চাপিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার

নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিমানবন্দর স্থাপন নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘাড়েই দায় চাপাতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রক ‘উন্নয়ন’ প্রসঙ্গতিকে তুলে এনে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করতে চাইছে।
আজ সেন্ট্রাল এভিয়েশন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিমানবন্দর স্থাপন করার জন্যে বিগত দিনগুলোতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আমরা বার বার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমরা চাইছি পূর্ব ভারতের সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংযোগ আরও ব্যাপকভাবে গড়ে উঠুক। এতে করে সমগ্র পূর্ব ভারতের সার্বিক উন্নয়ন হবে। সেই উন্নয়নের সাথে আমরা পশ্চিমবঙ্গকেও জুড়ে রাখতে চাইছি। কিন্তু নানারকম উন্নয়নের কথা বলেও পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার আদৌ এই ব্যাপারে খুব বেশি উদ্যোগ নিচ্ছে না। বহুবার বহু বৈঠক হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বৈঠকে কথাও বলছে, কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এভাবে উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব ? শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গাফিলতির জন্যেই পূর্ব ভারতে বিমান যোগাযোগের প্রকল্প অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।”

আরও পড়ুন-অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে নিউটাউন কারিগরি ভবন এর সামনে ইন্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

বহির্বিশ্বের সাথে বিমান চলাচল তথা বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের জন্যে কেন্দ্র সরকার উত্তর পূর্ব ভারত ও পূর্ব ভারতের বিমানবন্দরগুলিকে আরও সুগঠিত করতে চায় বলে আগেই জানিয়েছিল। সেই কারণেই আসামের গুয়াহাটি, ত্রিপুরার আগরতলা, আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার সহ পশ্চিমবঙ্গের বিমানবন্দরগুলিকে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সমেত গড়ে তুলতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। এই বিমান যোগাযোগ ঠিকমত তৈরি করতে পারলে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সাথেও বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য যোগাযোগ বেড়ে যাবে। বেড়ে যাবে পর্যটন শিল্পের প্রসার।
কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের যা দৈনন্দিন ক্ষমতা রয়েছে তার চেয়েও বেশি চাপ নিয়ে চলছে। তাই কলকাতা বিমানবন্দরের পাশাপাশি আরও একটি নতুন বিমানবন্দর দ্রুত তৈরি করা প্রয়োজন বলে কেন্দ্র সরকার অনেক আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথমে অন্ডাল বিমানবন্দরের কথা বললেও কলকাতা থেকে অন্ডালের দূরত্ব অনেক বেশি থাকায় বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় নি। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কলকাতার কাছাকাছি ভাঙ্গরে নতুন বিমানবন্দর তৈরি করার কথা বললেও কাজ খুব একটা এগোয় নি।

আরও পড়ুন-ভোর বেলা পথ দুর্ঘটনা!দুধ বোঝাই গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা,আহত গাড়ির চালক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আজ বলেন, “আমরা কলকাতা বিমানবন্দরটিকে রেখেই নতুন বিমানবন্দর তৈরি করার কথা বলেছিলাম রাজ্য সরকারকে। নতুন বিমানবন্দরের দূরত্ব যেন কলকাতা থেকে খুব বেশি দূরে না হয়। বিশ্বের সব বড় শহরের কাছাকাছি দ্বিতীয় বিমানবন্দর রয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার যদি এয়ারপোর্ট অথরিটিকে জমি না দেয়, তাহলে বিমানবন্দর কিভাবে তৈরি হবে ? শুধু কলকাতা বিমানবন্দরই নয়, আমরা এর আগে শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দর, ডুয়ার্সের হাসিমারা এবং খড়্গপুরের কালাইকুন্ডা বিমানবন্দরের সম্প্রসারনের জন্যেও জমি দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সেই জায়গাগুলিতেও জমি দিতে পারে নি রাজ্য সরকার। নতুন বিমানবন্দরগুলো তৈরি না হলে বিমান যোগাযোগ গড়ে উঠবে না, সেক্ষেত্রে সাবিক উন্নয়ন মার খাবেই। সেটা কখনোই কাম্য হতে পারে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *