ইপিএফও তহবিলে সাময়িক কমছে সুদের হার

নিউজ ডেস্ক: করোনাজনিত পরিস্থিতিতে এবার মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের উপরেও কোপ পড়তে চলেছে। বুধবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল বা ইপিএফও-য় জমা টাকার উপর ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হবে। করোনাজনিত পরিস্থিতির কারণে সংস্থার আয় বিপুল কমেছে। সে কারণেই আপাতত সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের পর থেকে পূর্বনির্ধারিত ৮.৫০ শতাংশ হারেই ইপিএফও সদস্যদের সুদ প্রদান করা হবে।

ইপিএফও-র সুদের হার চূড়ান্ত করতে বুধবার একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইপিএফও-র শীর্ষ কর্তারা এবং কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী অংশ নেন। অনলাইন ব্যবস্থায় ওই বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই স্থির হয়, করোনাজনিত কারণে সংস্থার আয় বেশ কিছুটা কমেছে। তাই এই মুহূর্তে ইপিএফও-র সদস্যদের ৮.৫০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আপাতত ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া চলবে।

তবে ডিসেম্বরের পর বকেয়া ০.৩৫ শতাংশ সুদ মিটিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী এব্যাপারে ইপিএফও-র সকল সদস্যকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, বকেয়া সুদ পাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের কোনও চিন্তা করতে হবে না। সরকার ডিসেম্বরের পর বকেয়া ০.৩৫ শতাংশ সুদ মিটিয়ে দেবে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে একাধিক শ্রমিক সংগঠন। তবে তারা জানিয়েছে, শ্রমমন্ত্রীর আশ্বাস মেনে তাঁরা ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ডিসেম্বরের পর যদি সদস্যদের বকেয়া সুদ মেটানো না হয় সে ক্ষেত্রে তাঁরা আন্দোলনের রাস্তায় নামবেন।

করোনাজনিত পরিস্থিতিতে এমনিতেই মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু পাল্লা দিয়ে প্রায় সব ক্ষেত্রেই খরচ বেড়েছে। আয় ও ব্যয়ের এই ফারাক মেটাতে এমনিতেই নাজেহাল হচ্ছে মানুষ। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার ক্ষেত্রেও কোপ পড়লে সেটা খুবই দুঃখজনক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *