আশা জাগিয়ে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমল
নিজস্ব প্রতিনিধি : পরপর কয়েকদিন একটানা লাফিয়ে বেড়েছিল সংক্রমণ। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার কিছুটা হলেও দেশের করোনার সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা কমল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ১৪৪ জন। সোমবার এই সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তুলনায় মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৭১ জন।
এরই মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ছত্তিশগড়ের প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ করুণা শুক্লার। সোমবারের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমায় স্বস্তি মিলছে। তবে এই গ্রাফ কবে আরও নিম্নমুখী হবে এই আশায় দিন গুনছে স্বাস্থ্যমহল থেকে শুরু করে আমজনতা সকলেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এদিনের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশে মোট করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ লক্ষ ৮২ হাজার ২০৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৮২৭ জন। যা নতুন আক্রান্তের তুলনায় বেশ কিছুটা কম। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার কমার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে আছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ২০৯ জন। ইতিমধ্যে ১৪ কোটি ৫২ লক্ষ ৭১ হাজার ১৮৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ,গত পাঁচদিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল। তিনদিনের মধ্যেই সংক্রামিতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ১০ লক্ষের গণ্ডি। তবে মঙ্গলবার সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ল। সামান্য হলেও সংক্রমণের হার কমল। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে ঝাঁপাতে চাইছে কেন্দ্র। এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় টিকাকরণই একমাত্র পথ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপাতত দেশে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দিয়ে চলছে টিকাকরণ। তবে মে মাসের শুরুতেই হাতে আসছে আরও একটি ভ্যাকসিন। আগামী মাসে রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ভি’ আসছে দেশে। ‘স্পুটনিক ভি’ এসে গেলে দেশে টিকারকরণ আরও কিছুটা গতি পাবে। উল্লেখ্য, ১ মে থেকেই দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেরই টিকাকরণ শুরু হবে। স্পুটনিক ভি হাতে এলে সেই কাজ আরও অনেকটা গতি পাবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আশা করছে। এই মুহূর্তে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অক্সিজেন। কিন্তু দেশে অক্সিজেনের বিপুল ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। এখন দেখার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কবে নিয়ন্ত্রণে আসে।