অ্যামেচার যাত্রা শিল্পীরা প্রতি মুহূর্তে অস্তিত্বের লড়াই লড়ছে
নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে মানুষ আর অতিতকে ভুলতে বসেছে, একটা সময় ছিলো যখন যাত্রাই ছিলো মানুষের প্রথম বিনোদন। এই যাত্রার মাধ্যমেই প্রকাশ পেত অতিত দিনের নানান কথা। এক সময় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামেও যাত্রার ভুমিকা ছিলো। সমাজ ব্যাবস্থার কথা যেমন ফুটিয়ে তুলতো। তেমনি ব্রিটিশদের অত্যাচারকেও ফুটিয়ে তোলা হতো বিভিন্ন যাত্রা বা নাটকের মাধ্যমে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মামনি মুখার্জি,বিশিষ্ঠ যাত্রা শিল্পী কার্তিক গাঙ্গুলি,কৃষাণ সেলের সভাপতি দেবব্রত খাঁড়া সহ আরও অনেকে
আরও পড়ুন-মেয়ের বান্ধবীকে আপত্তিকর মেসেজ, ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ অভিযুক্ত
কার্তিক গাঙ্গুলি বলেন আজ ডিজিটাল মিডিয়ার য্যগে মানুষের হাতের মুঠোয় যেমন আনন্দ বিনোদন কে এনেছে, তেমনি যাত্রাশিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। তেমন দর্শক এখন আর যাত্রা মাঠে যাচ্ছেনা। একসময় হাজারে হাজারে দর্শকের ভিড়ে যাত্রা ময়দান থিক থিক করতো, আর সেখানে ৫০০ দর্শক জোগাড় করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে, বর্তমানে করোনার প্রভাবেও যাত্রার ডাক তেমন আসছেনা। ফলে খুবই করুন অবস্থা যাত্রা শিল্পিদের। অনেক শিল্পি পেটের তাগিদে সংসার বাঁচাতে অন্য পেশাতেও চলে যাচ্ছে। তবুও এই শিল্পকে ধরে রাখতে মরিয়া অনেক শিল্পি। বর্তমানে করোনার সময়ে রাজ্য সরকার আবারও যাত্রাপালা করার অনুমিত দেওয়ায় কিছুটা হলেও খুশি এই এমিচার যাত্রা শিল্পিরা।