৫৫ বছর বয়সে সাইকেল নিয়েই ভারতবর্ষ ভ্রমন করছেন পরিমল কাঁঞ্জি
সাধ আর সাধ্য এই শব্দ দুটির মধ্যে ঠিক কতখানি পার্থক্য আছে, তা সবাই কম বেশি জানেন। অনেক মানুষই আছেন যাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই। তাই অনেক অনেক শখ, অনেক স্বপ্ন মনের মধ্যেই চাপা পড়ে থেকে যায়। দারিদ্রতার জন্য অনেক স্বপ্ন পূরণ হয় না, অনেক অনেক শখ, অনেক ইচ্ছাই অপূর্ন রয়ে যায়। ইচ্ছে থাকলেও সেই সকল শখগুলোকে আর পূরণ করা যায় না। কিন্তু কখনো কখনো সাধ্য না থাকলেও সাধ পূরণ করা সম্ভব, যদি সেই সাধটি মানুষের মধ্যে তীব্র ভাবে অবস্থান করে। ঠিক যেমনটা করেছেন পরিমল কাঁঞ্জি।
পরিমল কাঁঞ্জি সকলের কাছে উদাহরণস্বরূপ, দৃষ্টান্তের মত করে সকলের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছেন কীভাবে সাধ্য না থাকলেও সাধ পূরণ করা সম্ভব। ৫৫ বছর বয়স তার, এই বয়সে তার ইচ্ছে ছিল সমগ্র ভারতবর্ষ ভ্রমণ করার, সেই ইচ্ছা চোখে নিয়ে জানুয়ারির ১ তারিখে তিনি সাইকেল করে বেরিয়ে পড়েন। তার সাইকেলের মধ্যে ছিলো কিছু জামাকাপড় আর কিছু শুকনো খাবার।
তারপর ওই সাইকেল কে সঙ্গী করে ভারতবর্ষের সীমানা ঘুরে দেখার ইচ্ছাকে পূর্ণ করতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান পাঞ্জাব, জম্মু ও শ্রীনগর সাইকেলে করেই পৌঁছে যান তিনি। এখন তিনি লেহ লাদাখ পেরিয়ে মানালির দিকে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড নেপাল , সিকিম সমস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো পেরিয়ে অবশেষে কলকাতায় ফিরে আসবেন। লাদাখের কাছে কিছু ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তিদের সাথে তার দেখা হয় তখন তিনি একটি ছবি তোলেন। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। তার এই প্রবল মানসিক ইচ্ছা দেখে সকলেই তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।
আসলে তিনি সত্যিই কুর্নিশ পাওয়ার যোগ্য, সকল মানুষের কাছে তিনি অনুপ্রেরণার আশ্রয়স্থল স্বরূপ। যে সকল মানুষরা ভ্রমন করতে ইচ্ছুক তাদের কাছে ওনার একটি স্লোগান, “সামর্থ্য নেই… পা তো আছে” এর এই পায়ের উপর ভর করেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণা মূলক। তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরে তার পরবর্তী যাত্রার জন্য শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি যে ভ্রমন প্রিয় মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা তাও জানাতে ভোলেননি নেটাগরিকরা।