করোনা রিপোর্ট ছিলো পজেটিভ, মৃত্যুর ১বছর পর জানা গেলো করোনা আক্রান্ত ছিলো না রোগী! কীভাবে হলো এই বিভ্রাট জানেন?
করোনার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে বিশ্ব জুড়ে সকল মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিলো। তারপর ধীরে ধীরে সংক্রমণের হার কমেছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। করোনার প্রথম দুই ঢেউয়ে ভারত পুরো বিপর্যস্ত হয়ে পরেছিলো। অসংখ্য মানুষ মারা গেছে করোনার প্রথম দুই ঢেউয়ে।
এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যে প্রত্যেকটা মানুষ করোনার ভয়ে ভীত হয়ে করোনার টেস্টকরাচ্ছিলো। এই টেস্টের ফলাফল দেখার পর তারা সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট শুরু করছিল। কিন্তু যদি ফলাফল ই ভুল আসে তখন কী উপায়? সম্প্রতি এই রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে।
সাম্প্রতিককালে হওয়া ঘটনাই জানা যাচ্ছে যে, করোনা পজিটিভ বলে যার ট্রিটমেন্ট হয়েছিল এবং এই টেস্টের পর ট্রিটমেন্ট শুরু করে যার মৃত্যু হয়েছিল, তার আদপে করোনা হয় নি। মৃত্যুর এক বছর দুইমাস পরে জানা গেলো সেই সত্য।
২০২০ সালের ১০ জুলাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার ইছাপুর এর বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। সে ছিলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার মৃত্যুর আগে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছিল পজেটিভ। আর ১ বছর ২ মাস পর জানা গেলো করোনা আক্রান্ত ছিল না সে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় সকলে তাজ্জব হয়ে গেছে তার থেকেও বেশি বিস্মিত হয়ে গেছে।
শুভ্রজিৎ এর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ যে নমুনা সংগ্রহের 5 মিনিটের মধ্যে একটি হাতে লেখা রিপোর্টে লিখে দেওয়া হয় যে শুভ্রজিৎ করোনা আক্রান্ত। এর ফলে ১২ ঘন্টা ধরে চারটি হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করার পর অবশেষে পুলিশের সাহায্য নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে তার পরিবারের লোক শুভ্রজিৎ তে ভর্তি করে।
এতকিছুর পরেও শেষ রক্ষা হয়নি, মারা গিয়েছিল শুভ্রজিৎ। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দেখিয়ে রোগীর পরিবার মিডল্যান্ড নার্সিংহোম, কামারহাটি ই এসআই, সাগর দত্ত হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।
এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় মৃত ছাত্রের rt-pcr ও ভিসেরা টেস্ট করা হবে। পরিবারের দাবি সেই rt-pcr রিপোর্ট থেকে বর্তমানে জানা গিয়েছে যে , শুভ্রজিৎ করোনা আক্রান্ত ছিল না!
এই বিষয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ জানায় যে এই বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। পুলিশের তদন্ত সহযোগিতা করছি এবং আগামী দিনেও করবো।