সমস্ত নথিপত্র থাকা সত্বেও সংকটের মুখে শান্তিকেতনের ‘সবুজ পত্র’ আবাসন!ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় হাজারের বেশি খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষ

একটু শান্তি খুঁজতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকেরা ছুটে আসে সংকটের মুখে। কিন্তু ইট বাড়ির পাথরের মধ্যে সেই শান্তি কি এখন সত্যিই শান্তিকেতনে আছে? প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু সেই শান্তি পেতে এখন আসতেই হবে বোলপুরের কোপাই নদীর পাশে সবুজে ঘেরা সবুজ পত্র নামের এক আবাসনে। কিন্তু বর্তমানে কিছু স্থানীয় একদল সুবিধাবাদী, স্বার্থান্বেষী মানুষের জন্য আজ সবুজ পত্র প্রোজেক্টটি সংকটের মুখে। সমস্ত নথিপত্র থাকা সত্বেও বর্তমানে সবুজ পত্রের দ্বিতীয় ফেসের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় হাজারের বেশি খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষরা।

আরো পড়ুন-মায়াপুর ইসকনে এসেছেন জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা! জগন্নাথ দেবের ৫৬ ভোগের সহিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত

এর পাশাপশি প্রায় ৩০০টি পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত। কিছু মানুষের প্ররোচনায় এবং ভুল বুঝিয়ে স্থানীয় মানুষদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে বর্গাদারদের কাছে থেকে সঠিক টাকা না দিয়েই, নাম মাত্র দামে অধিগ্রহণ করা হয়েছে জমি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন স্বয়ং বর্গাদাররাই। এদিন বর্গাদার নারায়ণ হেমব্রম বলেন, “বর্গাদারদের সরকারি হিসাবে যা ন্যায্য প্রাপ্য সেটাই তিনি পেয়েছেন”।
এদিন সবুজ পত্রের কর্মকর্তা মহাদেব মন্ডল জানান, “আমরা সমস্ত জমি সরকারি নির্দেশ মেনে, এবং সরকারি ওয়েবসাইট বাংলা ভূমি ডট কম-এ ভেরিফাই করার পরেই তারপরই তা প্রাপ্য টাকা দিয়ে জমি গুলি কেনা হয়। এই বেসরকারি আবাসনটি হতে যাদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়, তারাও পরিস্কার জানিয়ে দেন সবুজ পত্রের মালিক তাঁদের সঠিকভাবেই সমস্ত টাকা পয়সা মিটিয়ে দেওয়া হয়। এখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এখানে বাড়ি কেনার আগে সমস্ত কাজপত্র দেখে, যাজাই করেই এখানে বাড়ি কিনেছি এবং এখানকার কর্মকর্তারা সরকারী যা যা বাড়ির কেনার সময় করতে হয় সবই করে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর এই ভাঙলো ঘুম? চালকদের জন্য খোলা হল বিশেষ বিশ্রাম কক্ষ

সবুজ পত্রের আরেক কর্মকর্তা অভিজিৎ ধারা জানান, “আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি, আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই জটিলতা কাটিয়ে আমাদের কাজটা সুষ্ঠভাবে শুরু করা হোক।”এখন দেখার বিষয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কতো তাড়াতাড়ি এই জটিলতা কাটিয়ে উঠে আবার কাজ শুরু করা যায়, এবং এই হাজারের বেশি মানুষের মুখে কবেই বা হাঁসি ফোটে…..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *