বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের আজকের রায় নিয়ে ‘ফ্যাসিস্ট আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা’ মঞ্চের বক্তব্য

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট আজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে যে রায় দিয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের বিরুদ্ধে গেছে। বিশ্বভারতীর বর্তমান লড়াইটি আসলে চলছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে। ছাত্র-ছাত্রী বহিষ্কার পরবর্তী আন্দোলনে সে লড়াই চরম রূপ পেয়েছিল মাত্র। এই লড়াই রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা-দর্শন অনুসারে মুক্তচিন্তার পরিসরকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই, শুধু বিজেপি-পোষিত উপাচার্যের বিরুদ্ধে লড়াই তা নয়। এই লড়াই-এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়কে প্রাথমিক সাফল্য বলা যায়। হাইকোর্ট ছাত্র-বহিষ্কারে স্থগিতাদেশ দিয়ে তিন ছাত্রছাত্রীকেই আশু ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন- গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন ময়নাগুড়ির রামশাই থেকে উদ্ধার বিশালাকার কিং কোবরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক তথা আন্দোলনের-পাশে দাঁড়ানো বোলপুর-শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রপ্রেমী ও শিক্ষানুরাগী প্রতিবাদী সাধারণ মানুষ সহ বাংলার ফ্যাসিবিরোধী বিভিন্ন ছাত্র-সংগঠন ও জনতাকে সে কারণে মঞ্চ সংগ্রামী অভিনন্দন জানায়। মঞ্চ আশা করে, ভুক্তভোগী অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীরা আদালতের নির্দেশ মতো উপাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা করে আশু ন্যায় পাবে। একই সঙ্গে মনে রাখা দরকার, এ সাফল্য আপোষহীন ছাত্র আন্দোলনেরই ফসল৷ তাই সমস্ত অবস্থান-আন্দোলন তুলে নেওয়ার যে নির্দেশ জারি করেছে হাইকোর্ট, তা যদি ছাত্র আন্দোলন/রাজনীতিতে অংশ না নেওয়ার পরোক্ষ উপদেশ হয়, তবে তা মঞ্চ সমর্থন করছে না।

আরও পড়ুন- রোহিত শ্রীময়ীর ফুলসজ্জা মিটতেই টিআরপি তলানিতে, ভরসা জুন আন্টি

আপাতত হয়ত অবস্থান উঠবে উচ্চ আদালতের আশ্বাসে। কিন্তু উচ্চ আদালতের যাবতীয় আশ্বাস বাস্তবে স্বস্তি দিচ্ছে কিনা, তার উপর ছাত্র আন্দোলনের নজরদারি বহাল থাকবে– এমনটা মঞ্চ আশা করে। এই প্রাথমিক জয় তখনই পূর্ণতা পাবে যখন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়নক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী,  যাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ছিল, তিনি পদত্যাগও করবেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত এবং ফ্যাসিবাদী চিন্তার দখলমুক্ত করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *