অবশেষে বন্ধ ডানলপ কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল সাহাগঞ্জে
অবশেষে বন্ধ ডানলপ কারখানার শ্রমিকদের গ্রাচুইটি, ই.আর.এস এবং ওটিএসের বকেয়া টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে কোলকাতা হাইকোর্ট। সেইমত কারখানার তিনটি স্বীকৃত ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে বকেয়া মেটাতে শ্রমিকদের আবেদন পত্র পূরণের কাজ শুরু হল।
আরো পড়ুন-অরুণাচলপ্রদেশে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে উত্তাল দেশ!উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ডাক দিলেন রাজনাথের
গত ২৯শে ডিসেম্বর আদালত জানিয়ে দেয় সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানার ১৪১৫জন শ্রমিকের মধ্যে গ্রাচুইটি, ই.আর.এস এবং ওটিএসের পাওনার ৫০শতাংশ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। অবলোপনআধিকারিক (লিক্যুইডেটর)-এর মাধ্যমে এই টাকা মেটাতে হবে। প্রসঙ্গত বন্ধ ডানলপ কারখানা ২০১৩সালে হাইকোর্টের নির্দেশে লিকুইডেশনে যায়। তারপর সিআইটিইউ, আইএনটিইউসি এবং আইএনটিটিইউসি এই তিন শ্রমিক সংগঠনের বকেয়া মেটানোর মামলা চলতে থাকে কোলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই হাইকোর্ট বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেয়। সেইমত বন্ধ ডানলপ কারখানা চত্ত্বরে সিআইটিইউ-র পরিত্যক্ত অফিসের সামনে শ্রমিকদের অবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আদালত ৫০শতাংশ বকেয়া দেওয়ার কথা বললেও সেই প্রদেয় অর্থের উর্দ্ধসীমা ১লক্ষ ২৫হাজার টাকার মধ্যে বেঁধে দিয়েছে। ধরুন কেউ যদি তিন লক্ষ টাকা পায় তাহলে আদালতের নির্দেশ মত মোট অর্থের ৫০শতাংশ অর্থাৎ দেড় লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি পাবেন এক লক্ষ ২৫টাজার টাকা। কারন প্রদেয় অর্থের ঊর্দ্ধসীমা ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা বেঁধে দিয়েছে আদালত। রুইয়া গোষ্ঠী ডানলপ অধিগ্রহন করে ২০০৬ সালে। সেসময় অনেকেই ইআরএস নেয়। এবং ২০০৯ সাল থেকে অবসরগ্রহন করা শ্রমিকরাই আদালতের নির্দেশনামায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আরো পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি দিপঙ্কর দত্ত!
আদালতের নির্দেশে অবশেষে বকেয়ার কিছুটা ফেরৎ পাচ্ছেন শ্রমিকরা। তবে এতে সেভাবে খুশি নয় শ্রমিকরা। বর্তমানে বার্ধক্যের প্রায় শেষ সীমায় দাঁড়ানো শ্রমিকদের বক্তব্য আমাদের টাকা দেওয়ার থেকে বেশি ভালো হত যদি কারখানাটা চালু হত। সেক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের বহু মানুষের কর্মসংস্থান হত। মৃত্যুর আগে সেটাতেই আমাদের কাছে অধিক পাইনা হত।