‘৮০ শতাংশের বেশি যুব সমাজ মিথ্যে মামলায় জেলের ভিতর’:জেল থেকে বেরিয়েই বিষ্ফোরক নিরাপদ
১৭ দিন পর জামিনে বেরোলেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার|নিরাপদর জামিনের শুনানিতেও পুলিশকে তুলোধনা করতে দেখা যায় কলকাতা হাইকোর্টকে|পাশাপাশি জেল থেকে বেরিয়েই বিষ্ফোরক দাবি করেন এবং তার সাথে মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি প্রাক্তন বাম বিধায়ক |
আরো পড়ুন-মেয়ো রোডে গেরুয়া শিবিরের সভায় অনুমতি হাইকোর্টের!
সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।নিরাপদর বিরুদ্ধে FIR দায়েরের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি বলে দেখানো হয়েছে। অথচ ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ জমা পড়ে বলে জানা যায়। তাই অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগেই কোন যুক্তিতে নিরাপদকে গ্রেফতার করা হল|এমনটাই আজ প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক|তিনি এও বলেন,’পুলিশ তো দারুণ দক্ষতার সাথে কাজ করেছে!কী ভাবে একজন নাগরিককে এভাবে হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ? এতদিন যে হেফাজতে রাখা হয়েছে নিরাপদকে, কে ক্ষতিপূরণ দেবে, প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
আরো পড়ুন-চা বিক্রেতা থেকে কোটিপতি!৩০ টাকার লটারির টিকিট বদলে দিল কপাল
এরপর নিঃশর্ত অন্তবর্তী জামিন দেওয়া হয় নিরাপদকে|মঙ্গলবারই নিরাপদকে ছেড়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালত জানায়, আজ নিরাপদকে মুক্তি দেওয়া না হলে, আদালত অবমাননার নোটিস দেওয়া হবে পুলিশকে। এর পরই সন্ধে ৬টা নাগাদ জেল থেকে বেরিয়ে আসেন নিরাপদ।এরপর সন্ধে ৬টা নাগাদ জেলের বাইউরে বেরিয়ে আসেন নিরাপদ।সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তিনি বলেন,”আমাকে বেআইনি ভাবে কলকাতার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জেলে এসে একটা ভাল-মন্দ অভিজ্ঞতা হয়েছে বটে, জেলে না ঢুকলে বোঝা যেত না। ৮০ শতাংশের বেশি যুব সমাজকে জেলের ভিতর রাখা হয়েছে। যে যুবসমাজ আমাদের ভবিষ্যৎ, তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মিথ্যে মামলায় জেলে রেখেছে। হাঁস-মুরগি চুরির অভিযোগে জেলে রাখা হয়েছে অনেককে। এভাবেই যুবসমাজের মেরুদণ্ড ভাঙতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”