নামেই রয়েছে ‘চপ শিল্প’, বাংলায় এই ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে
নিউজ ডেস্ক: কে বলেছে চপশিল্প হিট নয়? বীরভূমের সিউড়ি শহরের মাদ্রাসা রোডে খোঁজ পাওয়া গেল এই বিশেষ ধরণের তেলেভাজার দোকানের ।তেলেভাজার মধ্যে কিন্তু কোনো নতুনত্ব নেই। তবে রয়েছে দোকানের নামে। দোকানের মালিক দোকানের নাম দিয়েছে ‘চপ শিল্প’। এই নাম নিয়ে এমনিতেই রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে চলছে তরজা। কিন্তু তার জন্য খদ্দেরের কমতি নেই। কাতারে কাতারে ভিড় জমাচ্ছেন তারা এই দোকানে। তেলেভাজার ব্যবসা এখন রমরমিয়ে চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেছিলেন, “আমার পাড়ায় কয়েকটি তেলেভাজার দোকান আমি চিনি, যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করে চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন। বড় ব্যবসাও করছেন। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই আফতাব উদ্দিন খান নামে সিউড়ির মাদ্রাসা রোডেরই এক যুবক তেলেভাজার দোকান খুলেছেন।
তিনি বলেন , “আমি একজন শিক্ষিত বেকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই নামে দোকানটি খুলেছি। নতুন ধরনের এই নাম দিয়ে দোকান খোলার পর থেকেই দোকানে ভিড় বেড়েছে। চাহিদামত খাবার সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিদির কথাবার্তা ভাল লেগেছে বলেই আমি এই নাম দিয়ে এমন দোকান খুলেছি।”
দোকানের এক ক্রেতা জানিয়েছেন, “নামের পাশাপাশি চপের ক্ষেত্রেও বেশ গুণগত পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্য দোকানে তুলনায় চপ এখানে বেশ ভাল। দোকানে প্রতিদিন প্রচুর মানুষের ভিড় দেখতে পাচ্ছি। আর নামের কথা বলতে গেলে বলতেই হয়, জেলায় তো দূরের কথা রাজ্যেও এমন নামের কোন তেলেভাজার দোকান আছে কিনা সন্দেহ রয়েছে।”
সিউড়ির তেলেভাজার দোকানটির নাম ‘চপ শিল্প’ হলেও এখানে পাওয়া যায় বেগুনি, ঘুগনি মুড়ি, সিঙ্গাড়া, ডালপুরি, বাটার টোস্ট, চা ও বেশ কিছু অন্যান্য খাবার। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অর্ডার নেওয়া হয়।