প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা তথা আইনজীবী ইদ্রিশ আলি,শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল বিধানসভায়
প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ক্যানসার এবং বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা শুরু হয়। এমনকী, হাঁটাচলার জন্য সম্প্রতি তাঁকে অন্যের উপর নির্ভর করতে হচ্ছিল বলেও সূত্রের খবর। তিনি বিধানসভা অধিবেশনেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য যোগ দিতে পারেননি।তিনি পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন তিনি। তাঁর পারিবারিক ব্যবসাও ছিল।
আরো পড়ুন-বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে রামপুরে পুলিশের বাধা!
প্রসংগত ,২০১৪ সালে তাঁকে বসিরহাট কেন্দ্রে লোকসভার প্রার্থী করে তৃণমূল। সেই সময় তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রের জন্য অবশ্য নুসরত জাহানকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে ভগবানগোলা থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। এই রাজনীতিকের উত্থান কংগ্রেসের হাত থেকে। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১ সালে পরিবর্তনের হাওয়া যখন জোরাল সেই সময় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। যদিও রাজ্য পালা বদল হলেও সেই সময় তিনি জয়ী হতে পারেননি।২০০৭ সালে তিনি কলকাতায় এক প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে ভাষা সংযমে রাখার পরামর্শও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরো পড়ুন-‘সন্দেশখালিতে সত্যের বিস্ফোরণ ঘটছে’:মন্তব্য মিঠুন চক্রবর্তীর
প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি প্রয়াত। আলির মতো বর্ষীয়ান নেতাকে হারানো দলের জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে।তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা-নেত্রীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও শোকাতুর এই প্রবীণ নেতার সমস্ত অনুগামীরা।সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া সমস্ত মহলে। শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়।