‘আমিই প্রথম এই কথা বলেছিলাম যে উনি নোবেলজয়ী নন’:অমর্ত্য সেন নিয়ে মন্তব্য দিলীপের

শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ|সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কি বললেন-

অনুপম উবাচ

ব্যাক্তিগত ভাবে কে কি বলেছে জানিনা। কিন্তু অমর্ত্য সেন এই প্রথম স্বীকার করলেন তিনি নোবেলজয়ী নন। আমিই প্রথম এই কথা বলেছিলাম যে উনি নোবেলজয়ী নন। তখন অনেকে নোবেল কমিটিকে চিঠি পর্যন্ত লিখে ফেলেছিলেন। আজ উনি নিজে এই কথা ঘোষনা করতে বাধ্য হলেন। চাপের চোটে। এই স্তরের লোকেদের এ ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে না পরাই ভালো ছিল।

সুকান্ত মন্তব্য: বাংলার পঞ্চায়েত ভোট। বাংলার নেতারাই লড়ে নেবেন। কেন্দ্রীয় নেতা লাগবে না।

তাই তো ঘটছে। অমিত শাহ বা নাড্ডা জি রা আসছেন। 6 জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসছেন। তারা লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে আসছেন। বিশেষত সেই জায়গা গুলিতে ফোকাস করছেন, যেখানে আমরা আগেরবার জিততে পারিনি। বাকি আমরা প্রদেশের পুরো টিম, রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। তারা স্থানীয় সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্য নেতৃত্বকেই লড়তে হবে।

আরো পড়ুন-দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে শুরু হতে চলেছে বিমান পরিষেবা

কুন্তলের মুখে বিজেপির তত্ব

জেলে যাওয়ার পর মনে পড়ল? কেউ শিখিয়ে দিয়েছে মনে হয়। কবে থেকে ধরেছে। এতোদিন কিছু বলেন নি তো। তাপস মন্ডল বা যেই হোক, যার সঙ্গে আপনারা এইসব কাজ করছিলেন, তখন কে সিপিএম, কে বিজেপি, কে তৃণমূল মনে পড়েনি। আজ যখন পালানোর রাস্তা নেই, তখন বিজেপির নাম বলছেন! আপনার বাড়ি থেকে ও এম আর শিট, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গেছে। অর্থাৎ আপনার অপকর্মের প্রমাণ আছে। তাপস মন্ডল বিজেপি কিনা, সেটা তো আপনাকেই তথ্য প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। আপনার বাঁচার রাস্তা নেই।

আরো পড়ুন-মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে চাঁদপাড়া বাজারে যশোর রোড অবরোধ করলো মতুয়া ভক্তরা

এক দিনে ১৫৩ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট?

অনুব্রত নিয়ে যত তদন্ত এগোচ্ছে, এই সব তথ্য সামনে আসছে। এতোদিন ধরে, এতো ব্যাপক আকারে তদন্ত। তদন্তকারীরা আরও গভীরে যেতে চাইছেন। ফলে সময় লাগছে। সমস্ত জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যে ১৪ লক্ষ ভুয়ো আধার কার্ড। কার্ডের মালিক জানেই না, তার নামে আরেকটা কার্ড হয়েছে। ভুয়ো রেশন কার্ড লক্ষ লক্ষ বাতিল করতে হল। এই যে সার্বিক দুর্নীতি চলছিল, সিপিএম আমল থেকে দুর্নীতির শুরু। তৃণমূল কংগ্রেস সেটাকে সর্বজনীন করে তুলেছে। বাংলার মানুষ হতাশ।

ত্রিপুরায় দারুণ ফল হবে

কাল আমরা প্রতিটা বিধানসভায় কার্পেট বম্বিং করেছি। কাল নাড্ডা ছিলেন। বাংলার টিম ছিল। আসামের টিম ছিল। বিজেপি পুরো শক্তি লাগিয়ে ত্রিপুরা জিততে চায়। সেখানকার মানুষকে সুশাসন দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী যাবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও যাবেন। আমি নিজে ১০০ কিলোমিটার ভিতরের একটা গ্রামে গেছিলাম। খুব ভালো সাড়া পেয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *