মায়াপুর ইসকনে এসেছেন জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা! জগন্নাথ দেবের ৫৬ ভোগের সহিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত
দিন কয়েক আগেই হয়ে গেল রথযাত্রা উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহাসামরোহে পালিত হল এই উৎসব। ঠিক তেমনি নদীয়ার মন্দিরনগরী মায়াপুর ইসকন মন্দিরে রাজাপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা দেবীকে। মায়াপুরের ইসকন মন্দিরকে জগন্নাথ দেবের অস্থায়ী মাসি বাড়ি হিসেবে ধরা হয়। রাজাপুর জগন্নাথের মন্দির থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দির নিয়ে আসা হয় জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা দেবীকে। উল্টো রথের আগে পর্যন্ত দেবতাদের স্থাপন করে পূজা করা হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।
আরো পড়ুন-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর এই ভাঙলো ঘুম? চালকদের জন্য খোলা হল বিশেষ বিশ্রাম কক্ষ
ইসকন মন্দিরের ভেতরেই সাজানো হয়েছে জগন্নাথ দেবের মন্ডপ। প্রতিদিন ভক্তের ঢল দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মতো। ভোর সাড়ে চারটের সময় শুরু হয় মঙ্গল আরতি। এরপর প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বারোটার সময় ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথ দেবের সামনে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখা হয় বিগ্রহের সামনে। তার মধ্যে থাকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, ডোনাট আরো রকমারি খাদ্য। দেশ বিদেশের বহু ভক্তরা প্রতিনিয়ত আসছেন জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে।জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা মহারানী সোনার আবরণে সজ্জিত হন এই দিন। আশা করা যাচ্ছে ভক্তের সমাগম এদিন ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্টো রথের আগে পর্যন্ত প্রতিদিনই চলবে মঙ্গল আরতি ও ৫৬ ভোগ আরতি। এছাড়াও প্রতিদিন জগন্নাথ দেবের আটটি শ্লোকে আরতি হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।
আরো পড়ুন-শালিসি সভা ডেকে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নেতৃত্বে বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাট!
এ বিষয়ে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, গত ৭ তারিখে রথের দিন বলরাম সুভদ্রা এবং বড়দেবকে তার অস্থায়ী মাসি বাড়ি মায়াপুর ইসকনের নিয়ে আসা হয়েছে। আবার সাত দিন পর উল্টো রথের দিন তিনি নিজের বাড়িতে রওনা দিবেন। এই সাত দিন মায়াপুর ইসকনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জগন্নাথকে ৫৬ ভোগ প্রদান করা হয়। যেহেতু জগন্নাথ দেব খাদ্য রসিক ছিলেন সেই কারণে তার পছন্দের খাবার যেমন কেক লাড্ডু থেকে শুরু করে পাস্তা এবং প্রিয় ফল কাঁঠাল ভোগ দেওয়া হয়। দেশ-বিদেশের শতাধিক ভক্ত তারা এই জগন্নাথ দেবের ছাপানো ভোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষকে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনি সকল ভক্তদের এই জগন্নাথ দেবের প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন।