‘দাদাগিরি হয়ে গেল…সিনেমা ছেড়ে রাজনীতির আঙিনায় তোমাক পদক্ষেপটা বেশি হয়ে যাচ্ছে’:দেবকে নিশানা মদনের

নিউটাউনের রেস্তোরাঁ মালিককে মারধর করার ঘটনায় খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে চন্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর নাম|ঘটনার কয়েকদিন কেটে গেলেও তাকে নিয়ে বিতর্ক থামেনি|দলও অবশ্য তার এই কাজকে সমর্থন করেনি|ইতিমধ্যেই,টলিউডে তার সতীর্থ এবং সাংসদ দেব তার এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন|

আরো পড়ুন-‘জনপ্রতিনিধি বলে নয়,যে কোনও মানুষেরই এমন ব্যবহার করা উচিৎ নয়!’:সোহমের সমালোচনায় দেব

সোহমের সমালোচনা করে দেব বলেছিলেন, “জনপ্রতিনিধি বলে নয়, যে কোনও মানুষের থেকেই এমন ব্যবহার কাম্য নয়। সোহমকে বুদ্ধিমান বলেভাবতাম। সোহম আমার ভাল বন্ধু। কিন্তু বন্ধু বলে সব কাজ যে ভাল তা নয়। যেদিন শুনলাম, সেদিন ফোন করে যা বলার বলেছি ওকে। এটা হওয়া উচিত নয়। সোহমের ক্ষমা চাওয়া উচিত। নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। জনপ্রতিনিধিদের এসব থেকে দূরে থাকা উচিত।”

আরো পড়ুন-সুখবর!এপ্রিল থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% বর্ধিত হারে ডিএ

এরপরই কামারগাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন,”পশ্চিমবঙ্গে আমার দেখা বিধায়ক এবং শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল মানুষ সোহম চক্রবর্তী। কখনও সীমা ছাড়ায় না। ওর বাড়িতে যাই, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়াও করি। ওর দোষ হল, ও নিতান্তই নিরীহ একজন যুবক, যে নিজের তালজ্ঞান ঠিক রাখতে পারেনি। সোহমকে মারতে দেখে খারাপ লাগছে আমার। এই সোহমকে আমি দেখিনি। সোহমের পাশে দাঁড়ানো নয়, ভুল করেছো, ক্ষমা চেয়ে নাও না বলে কঠিন সমালোচনা করেছেন দেব। ওটা দাদাগিরি হয়ে গেল।”দেবকে তীব্র আক্রমণ করে মদন বলেন,”দেবকে আমি অনুরোধ করব, তুমি সিনেমায় ছিলে তো! সিনেমায় তুমে এক নম্বর। আস্তে আস্তে সিনেমা ছেড়ে রাজনীতির আঙিনায় তোমাক পদক্ষেপটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে তোমারও ক্ষতি, বাংলারও ক্ষতি। সোহমকে কিছু বলার দরকার হলে দল আছে, সংসদীয় দল আছে, কোর কমিটি আছে, অভিষেক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *