তর্পন করতে এসে মানুষের অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, তাই গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনে দেবাশীষ কুমার
রাত পোহালেই পিতৃপক্ষের অবসানে দেবিপক্ষের সূচনা হতে চলেছে শনিবার। সেই পূন্যলগ্নে পিতৃপুরুষকে জলদান করবেন অগণিত মানুষ কাকভোর থেকেই। তার আগে যাতে সাধারণ মানুষের কোন অসুবিধা না হয় তাঁদের এই ক্রিয়াকর্ম করতে সে কারণেই সকাল থেকে শহর কলকাতার গঙ্গা পাড়ের সবকটি ঘাট কে পরিদর্শন করলেন এবং প্রস্তুতির খুঁটিনাটি দেখলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার।
আরো পড়ুন-দীঘার অদূরে তালসারির সৈকতে কুমির উদ্ধার
তবে কেবলমাত্র মহালয়াই নয়, প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রতিমা নিরঞ্জন হবে শহর কলকাতার এই ঘাট গুলিতেই। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে যাতে কারুরই কোনো অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য জলপথ, স্থলপথ,রেলপথ সহ সব ক্ষেত্রেই ত্রুটিমুক্ত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। একদিকে প্রতিমান নিরঞ্জনের যেমন সুব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পৌরসভা, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে শহর কলকাতার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার সবকটি ঘাট থেকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সেই প্রতিভা নিরঞ্জন দেখতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে। নবমীর দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে চক্ররেল, লক্ষ্মীপুজোর নিরঞ্জনের পর আবার চালু হবে চক্ররেল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বারবার করে আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব পুজো কমিটিগুলির কাছে, শুক্রবার ফের আবারও মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার সকলের কাছে আবেদন জানালেন গঙ্গার জল যাতে দূষিত না হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য যেন বজায় থাকে সে কারণেই পরিবেশ বান্ধব রং ব্যাবহার করুন দুর্গা প্রতিমার গায়ে।
আরো পড়ুন-তদন্তে মিথিলেশ কুমারকে পুনর্বহাল করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা
তবে শহরবাসীর কাছে এখনও পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাতে দুর্গাপূজার সময় সম্ভবত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এখন থেকেই মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার। তবে শেষ হাসি কে হাসবে সেটাই এখন দেখার।