আর জি কর কান্ড নিয়ে তোলপাড়ের মাঝেই এলো ‘ভাইরাল অডিও!আসল অপরাধীকে করা হচ্ছে আড়াল?

আর জি কর হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারি পড়ুয়ার নৃশংস ধর্ষণ ও খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য-দেশ|ইতিমধ্যেই,অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়,পেশায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ|পুলিশের দাবি,অভিষুক্ত গোটা অপরাধের স্বীকারক্তিও করেছে|তবে,আর জি কর হাসপাতালের অধিকাংশ আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়া,মৃতার পরিবার সহ সাধারণ মানুষের একাংশ মনে করছে এই অপরাধ একা সঞ্জয়ের পক্ষে একা সম্ভব নয়,জড়িয়াছে আরো অপরাধী|এবার সেই আশঙ্কার মাঝেই সামনে এলো এক ‘ভাইরাল অডিও’|

আরো পড়ুন-‘একা চারটে ছেলে সাথে ডিউটি করতে হত!ও আর জি কর হাসপাতালে যেতে চাইতো না,অনীহা ছিল’: বিস্ফোরক আর জি কর মৃতা ছাত্রীর বাবার

এই অডিওতে ২ ব্যক্তির মধ্য়ে কথোপকথন হচ্ছে। তারমধ্যে একজন নিজেকে আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজের ইন্টার্ন হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। এই চাঞ্চল্যকর অডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
ওই অডিওতে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আরজি করের গোটা আন্দোলনটা পুরোটাই মেকি, টা অধ্যক্ষই চালাচ্ছে এবং অধ্যক্ষেরই যারা শাগরেদ তারাই চালাচ্ছে।কালকে একটা ভিডিও এসেছে যে একটা সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। ওটা একটা ‘স্কেপগোট’। সেটা সঙ্গে সঙ্গে আমরা তুলে ধরেছি।

আরো পড়ুন-‘মেয়েকে কেউ খুন করার জন্য সুপারি দিতে পারে’:মেয়ের মৃত্য নিয়ে বিস্ফোরক আশঙ্কা ছাত্রীর বাবার

অডিওতে আরও শোনা যায়, কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল, ওটাতে আমরা ভুলে যাব। কিন্তু, ওরা তো জানে না অন্তত সেইটুকু বুদ্ধি তো আছে যে মানুষ বুঝতে পারবে ওটা ওর পক্ষে করা সম্ভব কিনা। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যেরকম আঘাত আছে দিদির,একজনের কাজ তো নয়, কমপক্ষে দুই বা তিন জন।এরপরই ওই কণ্ঠের চাঞ্চল্যকর দাবি, অনুমান করছি এটা এক ইন্টার্নের কাজ , যাঁর রাজনৈতিক ব্য়াকগ্রাউন্ড আছে। তাঁর পরিবারের সদস্য়রাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ , নাম নিতে পারব না। আমারই সমস্যা হয়ে যাবে।এই চাঞ্চল্যকর অডিও সামনে আসার পরই উঠছে একাধিক প্রশ্ন…মহিলা চিকিৎসককে নৃশংসভাবে খুন ধর্ষণের ঘটনায় কি প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি জড়িত?তাকে আড়াল করার চেষ্টা প্রভাবশালী মহল?তাকে আড়াল করতেই কি তড়িঘড়ি সিভিক ভলেন্টিয়ারের গ্রেফতারি…?সত্যকে কি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ভিতরেরই কিছু মানুষের মদতে…?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *