বারাসাত মেডিকেল কলেজের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সাংসদ!
বামফ্রন্ট সরকার ৩৪ বছরের রাজত্বে একটাও নতুন করে মেডিকেল কলেজ তৈরি করেনি।২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই এই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এরপরই শুরু হয়েছিল বারাসাত হাসপাতালে মেডিকেল কলেজের কাজ।অবশেষে চলতি মাসেই দীর্ঘদিনের সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে।জানা যাচ্ছে,আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে বারাসাতের বুকে শুরু হতে চলেছে বারাসাত মেডিকেল কলেজের পঠন-পাঠন।আর তাই চলছে জোর কদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
আরো পড়ুন-ফের সল্টলেকে প্রোমোটার রাজ!মৃত বাড়ির মালিকের স্বাক্ষর জাল করে বাড়ি দখলের চেষ্টা
বৃহস্পতিবার সেই শেষ পর্যায়ের কাজ পরিদর্শন করতে যান বারাসাতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।এছাড়াও এদিন তার সঙ্গে ছিলেন, জেলা হাসপাতাল সুপার সুব্রত মন্ডল,প্রিন্সিপাল মানস কুমার ব্যানার্জি,ডেপুটি সুপার পিয়ালী দে, চিকিৎসক রাজেশ কুমার শিকদার,রবীন মুখার্জি,অলক কুমার মল্লিক, গৌতম বোস, বিবর্তন সাহা, বারাসাত পৌরসভার পৌরপ্রধান অশনি মুখার্জী, বারাসাত থানার আইসি দীপঙ্কর ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্ট জনেরা।পরিদর্শনের পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।এরপর বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে জানান, “আমরা সন্তুষ্ট যে কাজ ভালই এগিয়েছে।এবং এত সুন্দর উপহার হেওয়ার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।এখানে ইতিমধ্যেই ৫০ জন ছাত্র ভর্তি হয়ে গিয়েছে।এবং সব থেকে ভালো ব্যাপার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা আছে,এইরকম ১০-১২ জন ছাত্র এখানে ভর্তি হয়েছে।এবং একটা মেডিকেল কলেজ চালু করতে গেলে যা যা লাগে তা সবই বারাসাত মেডিকেল কলেজে পর্যাপ্ত আছে।মেডিকেল কলেজ মানে রোগীর ওপরই পড়াশোনা।সেই রোগী এখানে পর্যাপ্ত আছে।কারণ আগে বারাসাত হাসপাতালে ৫০০ রোগী আসতো না।সেখানে এখন এখানে দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার রোগী আছে।”
আরো পড়ুন-“আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দান করেছেন,আমি আবার লড়াই করে ঘুরে দাঁড়াব”:মুখ খুললেন ইমরান
তিনি আরো বলেন,”আগামী ১৬ ই নভেম্বর থেকে এই কলেজে পঠন-পাঠন শুরু হয়ে যাবে।আর সেই পঠন-পাঠনের আগে আমরা ‘ফ্রেশেরাস ওয়েলকাম’ করবো,আজ সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হল।এছাড়াও বর্তমানে বারাসাত হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক রোগীর কারণে সঙ্কটজনক রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে গেলে, সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।সেই বিষয়ে মাথায় রেখেও আজ গ্রিন করিডোর করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।খুব শীঘ্রই সেটা তৈরি হয়ে যাবে।”এরপরই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি বলছেন হাতে ডান্ডা নিয়ে ঘুরতে।একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর কাছে এইরকম অরাজনৈতিক কথা বার্তা,মানুষ মোটেও ভালো চোখে নেই না।ওদের জনসমর্থন নেই বলে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে।আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন চাই,এবং এবারেও আমরা আশাবাদী আমরা বিপুল ভোটে জিতব।”