বাড়িতে স্বামী ও পুত্র থাকা সত্বেও তিন দিন ধরে ঘরে পরে ছিল গৃহবধূর মৃতদেহ,চাঞ্চল্য বারাসাতে

বাড়িতে রয়েছে স্বামী ও পুত্র। অথচ, ঘরের মধ্যে তিন দিনের বেশি সময় পড়ে রয়েছে গৃহবধূর মৃতদেহ। তীব্র দুর্ঘন্ধে স্থানীয়রা অতিষ্ট হয়ে পুলিশকে খবর দিতেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মহিলার পচাগলা মৃতদেহ। বুধবার বিকেলে অশোকনগরের সুভাষপল্লি এলাকার এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মালা দত্ত(৩৭)। তাঁর স্বামীর নাম কল্যাণ দত্ত,ছেলের নাম অর্ঘ্য দত্ত বয়স ১৮।

আরো পড়ুন-মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্বাবধানে রাজ্যের সেরা জেলা হাসপাতাল হয়ে উঠল এম আর বাঙুর

সঠিক কি কারণে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হল পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। একই বাড়িতে থেকেও কেন পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের বা পুলিশকে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি, কেন মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেনি তানিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

আরো পড়ুন-মহকুমা শাসক ও এক্সজিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর বিরুদ্ধে উঠল গাফিলতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগর পুরসভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায় কল্যাণ দত্তের বাড়ি। তিনি জলের পাইপ লাইনের কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী মালাদেবী দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ু রোগে ভুগছেন। ছেলে অর্ঘ্যেরও শারীরিক সমস্যা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিশতোনা। বাড়ির বাইরে গৃহবধূ বের না হওয়ায় কারোর সঙ্গে যোগাযোগও তেমন ছিলনা।

আরো পড়ুন-স্ত্রীকে ফিরে পেতেই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণা স্বামীর

মঙ্গলবার বিকেল থেকে প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেতে শুরু করেন। কোথাও কিছু মারা গিয়েছে ভেবে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিন্তু এদিন সকাল থেকে পচা গন্ধ্য মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। দুপুরে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধ্যান করে তাঁরা বুঝতে পারেন দত্তদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ্য বের হচ্ছে। এরপর দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। অশোকনগর থানার পুলিশ এসে দেখে বাড়িতে রয়েছে ছেলে ও স্বামী। ঘরের মধ্যে বিছানার উপর গৃহবধূর পচাগলা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। গায়ের উপর চাদর চাপানো আছে। পুলিশ দ্রুত মৃতদেহ উদ্ধার করে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ বারাসত জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

আরো পড়ুন-করোনা আবহে অক্সিজেনের সঙ্কট দূর করতে অভিনব উদ্যোগ নিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা

মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। বাড়িতে মৃতদেহ সংরক্ষণ, কিংবা কোনও তুকতাক করে মৃতকে বাঁচানোর চেষ্টারও কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। কিংবা মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টাও করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *